কলকাতা এবং শহরতলিতে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি, যুবক-যুবতী অ্যাপ নির্ভর বাইক ট্যাক্সি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। সাধারণ ট্যাক্সি থেকে কিছুটা সস্তা হওয়ায় এই পরিষেবা জনপ্রিয় হচ্ছে। রাজ্য সরকার ওলা, উবের, র্যাপিডো ইত্যাদি বহুজাতিক ‘অ্যাপক্যাব’ সংস্থাকে এই পরিষেবার অনুমতিও দিয়েছে। অথচ বাইক চালক যারা সংস্থার হয়ে যাত্রী পরিবহণ করছেন তাঁদের গাড়ির নাম্বার প্লেট কমার্শিয়াল নয় বলে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করছে পুলিশ। যদিও কমার্শিয়াল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেও চালকরা তা পাচ্ছেন না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মোটর ভেহিকেল আইনে ব্যক্তিগত বাইক চালকরা কমার্শিয়াল লাইসেন্স পান না। কমপক্ষে ১৫ জন একযোগে কোম্পানি না খুললে কমার্শিয়াল লাইসেন্স পাওয়া যায় না।
এই আইন পরিবর্তন করে বাইক ট্যাক্সি চালকদের আইনি স্বীকৃতি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, পরিবহণ শ্রমিক হিসাবে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত কলকাতা সাবারবান বাইক-ট্যাক্সি অপারেটর ইউনিয়ন আন্দোলন করে চলেছে। ২ মার্চ কলকাতায় বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বাইক-ট্যাক্সি চালকরা। ইউনিয়নের সভাপতি শান্তি ঘোষ ও সম্পাদক বিজয় সরকারের নেতৃত্বে লালবাজারে ডিসি (ট্র্যাফিক)-এর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। অবস্থানে বহু বাইক-ট্যাক্সি চালক এবং অন্যান্য পেশার শ্রমিক-প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন লকডাউন পরবর্তী সময়ে বহু মানুষেরই রোজগারের পথ এই বাইক-ট্যাক্সি। অবিলম্বে ন্যায্য দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ইউনিয়ন।