হেদুয়া পার্ক থেকে বেরিয়ে মিছিল বিবেকানন্দ রোড অতিক্রম করে এগোচ্ছে শ্রীমানি মার্কেট, বিপ্লবী ভগৎ সিং–এর আত্মগোপন স্থল আর্য সমাজ ভবন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাসাগর কলেজ, মেট্রোপলিটন স্কুলের সামনে বিধান সরণী ধরে৷ রাস্তার দু’পারে অসংখ্য মানুষ হাত নেড়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন এই মিছিলকে৷ অনেকেই বলছেন, কী বিশাল মিছিল এমন মিছিল করেই সরকারের টালবাহানার জবাব দেওয়া দরকার ছিল৷
পাশ–ফেল ফিরিয়ে দাও, নারী নির্যাতন বন্ধ কর, মদের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ কর, সকল বেকারের কাজ চাই ইত্যাদি স্লোগান মুখরিত মিছিল কলেজ স্ট্রিট মোড়ে এসে পৌঁছলে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ মিছিলের নেতৃবৃন্দকে ফুলের স্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানান৷ তাঁরা গভীর আবেগে বলেন, আপনারা জয়ী হোন৷
কলকাতা পাবলিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক, সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা, পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সম্পাদক, সভাপতি সহ সদস্যরা, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, জয় মাতাজি পরিবহণ প্রাইভেট লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক পুষ্পস্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানান৷ বড়বাজার ত্রিপলপট্টি ব্যবসায়ী সমিতি এবং সেন্ট্রাল ক্যালকাটা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনের বিজয় কামনা করে নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান৷
মিছিল তখন জনজোয়ারে পরিণত হয়ে এগিয়ে চলেছে ডানদিকে প্রেসিডেন্সি কলেজ, হেয়ার স্কুল, বামপাশে হিন্দু স্কুলকে ছাড়িয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে৷ কলেজ স্কোয়ারের বিদ্যাসাগর ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের মূর্তির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিল স্মরণ করছে তাঁদের শিক্ষাকে৷ যেন শুনতে পাচ্ছে শিক্ষার স্বাধিকারের দাবিতে স্যার আশুতোষের বজ্র ঘোষণা৷ মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের ঐতিহাসিক খাদ্যআন্দোলনের শহিদ স্মারককে বাঁদিকে রেখে পৌঁছালো ওয়েলিংটন মোড়ে৷ সেখানে স্থানীয় নাগরিকদের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দকে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়৷ সারি সারি মানুষ, দোকান কর্মচারী, পথচারীরা চাক্ষুষ করছেন রাজপথ জোড়া মহামিছিল – আন্দোলনের এই পথ বেয়েই আসবে জয়ের বার্তা৷