কলকাতাঃ মোবাইল রিচার্জ এবং ডাটা প্যাক মাশুল ১২ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এআইডিওয়াইও-র নেতৃত্ব কলকাতার এসপ্ল্যানেডে স্টেটসম্যান হাউস থেকে একটি মিছিল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) দপ্তরের সামনে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখায়। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মলয় পাল, রাজ্য নেতা সঞ্জয় বিশ্বাস, সমর চ্যাটার্জী। মাশুল বৃদ্ধির সার্কুলারের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। সঞ্জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে চার জনের প্রতিনিধিদল ট্রাই দপ্তরের আধিকারিকদের ডেপুটেশন দেন।
রাজ্য সম্পাদক বলেন, বিপুল পরিমাণে লাভ করে চলা এই সংস্থাগুলি আরও লাভ করার উদ্দেশ্যে অত্যধিক চার্জ সাধারণ গরিব মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে যা অত্যন্ত অন্যায় ও অযৌক্তিক। আবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ট্রাই, যাদের গ্রাহকস্বার্থ দেখার কথা, তারা এই মূল্যবৃদ্ধিকে নীরবে সমর্থন করেছে এবং বাস্তবে কর্পোরেটদের হাতকেই শক্ত করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশ জুড়ে ‘গ্রাহক কমিটি’ গড়ে গ্রাহকদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়।
কৃষ্ণনগরঃ ২ জুলাই নদিয়ায় কৃষ্ণনগর বেলেডাঙা মোড়ে রেলগেটের সামনে একটি বিক্ষোভ সভা এবং মোবাইলের চার্জবৃদ্ধির সার্কুলারের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। অগ্নিসংযোগ করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অঞ্জন মুখার্জী।
দিল্লিঃ মোবাইল রিচার্জ এবং ডাটা প্যাক মাশুল ১২ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩ জুলাই ট্রাই-এর দিল্লির কেন্দ্রীয় অফিসে গণ ই-মেল-এর কর্মসূচি নেওয়া হয় এআইডিওয়াইও-র পক্ষ থেকে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক অমরজিৎ কুমার বলেন, মোবাইল পরিষেবাকে পণ্যে পরিণত করার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদী ই-মেল পাঠিয়েছেন। এরপরও কোম্পানিগুলি বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না করলে ‘মোবাইল ইউজারস ফোরাম’ গঠন করে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।