ক্ষমতার মধুভাণ্ড দখলের লড়াইতে কত নিচে নামা যায়, তার আরেকটি দৃষ্টান্ত তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম৷ কুলতলির মৈপীঠে বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে পঞ্চায়েতে গত নির্বাচনে এস ইউ সি আই (সি) এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে বোর্ড গঠন করেছে৷ এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি নির্বাচন ৯ অক্টোবর৷ এখানে সদস্য সংখ্যা এস ইউ সি আই (সি)–র ১১ জন এবং টিএমসি ও সিপিএম মিলে ১১ জন৷ এস ইউ সি আই (সি) সদস্যরা কেউ যাতে বোর্ড গঠনের সময় পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত হতে না পারেন সেজন্য টিএমসি ও সিপিএম এলাকার দাগি দুষ্কৃতীদের নিয়ে পুলিশের সাহায্যে ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু করেছে৷
৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ ২৫ জনের নামে মিথ্যা কেস দিয়েছে৷ ৩ অক্টোবর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে টিএমসি আশ্রিত গুণ্ডারা শম্ভু গায়েন সহ ৬ জন এস ইউ সি আই (সি) সমর্থকেরবাড়িতে ভাঙচুর–লুটপাট চালায়৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার চালায়৷ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এফ আই আর হলেও পুলিশ তাদের না ধরে এস ইউ সি আই (সি) কর্মী–সমর্থকদের গ্রেপ্তার করছে৷
অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার ও পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবিতে ৭ অক্টোবর সকাল ৮ টা থেকে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মৈপীঠ কোস্টাল থানায় বিক্ষোভ দেখান৷ নেতৃত্ব দেন কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক এবং জননেতা কমরেড জয়কৃষ্ণ হালদার৷ বহু আন্দোলনের সাক্ষী অসংখ্য শহিদের রক্তে ভেজা মৈপীঠের মাটিতে সন্ত্রাস যে শেষ কথা বলতে পারে না, তা প্রমাণে আবার শপথ নিচ্ছেন মানুষ৷
(৭১ বর্ষ ১১ সংখ্যা ১২ – ১৮ অক্টোবর, ২০১৮)