২০২১-এর পরিবার ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জাতীয় সমীক্ষা অনুযায়ী, এই প্রথমবার ভারতে মহিলাদের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল পুরুষের সংখ্যাকে। অথচ সরকারি সমীক্ষাই দেখাচ্ছে, দেশে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। এমনকি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো ছোট দেশের তুলনাতেও ভারতে মহিলা-কর্মী কম।
ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ বলে অবিরাম প্রচারের ঢাক পেটান সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। এমন একটি দেশের কাজের বাজারে মহিলা-কর্মীর এই উদ্বেগজনক স্বল্পতা নিয়ে তাঁদের কিন্তু কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। শিল্পপতিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-আমলাদের বাজেট-পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এলে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব তাই, সমস্যার মূলে না গিয়ে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন কি না, এই প্রশ্ন তুলে দায় সেরেছেন।
একুশ শতকের এই আধুনিক যুগে পুরুষের পাশাপাশি মেয়েরাও সমান তালে উৎপাদনের কাজে এবং সমাজ গঠনে অংশ নেবে– এটাই হওয়া উচিত। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই এ দেশে মহিলা-কর্মীর সংখ্যা কমছে। এনএসএসও-র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪-‘০৫-এ কাজ করতেন ৩৭ শতাংশ মহিলা। ২০১৬-তে সেই হার পৌঁছেছে ২৬ শতাংশে। গ্রাম-শহর, সংগঠিত-অসংগঠিত সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতেই মহিলা-কর্মীর সংখ্যা কমছে। স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত মেয়েদেরও মাত্র ৩২-৩৩ শতাংশই কর্মরত। কোভিড অতিমারি এই পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করেছে।
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? যে দেশে গরিবি এত সর্বব্যাপক, সেখানে দুটো রোজগারের আশায় পরিবারের পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদেরও তো কাজের বাজারে আসার কথা! তা হচ্ছে না কেন? এর উত্তর অনেকটাই রয়েছে মেয়েদের প্রতি যথাযথ সমাজ-দৃষ্টিভঙ্গির অভাবের মধ্যে। আজও ভারতীয় সমাজের একটা বড় অংশ মেয়েদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক ভাবতেই অভ্যস্ত। পরিবারের পুরুষের কর্তৃত্ব মেনে, আর্থিক দিক দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে তাদের ওপরেই নির্ভর করে ঘরের চার-দেওয়ালের গণ্ডির মধ্যে নারী নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখবে– সমাজ-মননের একটা বড় অংশ জুড়ে এই ধারণা আজও বহাল। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে বহু মানুষ আজও মনে করেন, গৃহকর্ম ও সন্তানপালনই নারীর প্রধান কাজ। একটি স্বাধীন পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে আজ থেকে ৭৫ বছর আগে। তা সত্ত্বেও সামন্ততান্ত্রিক এই মনোভাব আজও টিকে থাকার পিছনে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে ভারতে সমাজবিপ্লবের কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন না হওয়া। এই অবস্থায় ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে বাইরে আসার সুযোগ করে নিতে পেরেছেন খুবই অল্পসংখ্যক মেয়ে। যাঁরা তা পেরেছেন, ভয়ানক বেকার সমস্যার এই যুগে আজ তাঁদেরও কাজের বিশেষ সুযোগ মিলছে না। এমনিতেই এ দেশে বেকার সমস্যা গত ৪৫ বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। এর ওপর অতিমারি ও লকডাউনের কারণে কর্মহীনতা আরও বেড়েছে।
মেয়েদের কাজের জগতে না আসার আরও একটি কারণ, কর্মক্ষেত্রে ও রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার অভাব। কাজের জায়গায় যৌন হেনস্তা রোখার জন্য আইন তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে। অথচ দেখা যাচ্ছে, আজও পর্যন্ত কোনও সরকারই সেই আইন মেনে কমিটি তৈরিতে কোনও সংস্থা-কর্তৃপক্ষকেই বাধ্য করেনি। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৩৬ শতাংশ ভারতীয় ও ২৫ শতাংশ বহুজাতিক সংস্থা এমনকি অভিযোগ শোনার কমিটিটুকু পর্যন্ত তৈরি করেনি। অফিস ছাড়াও ট্রেনে-বাসে, রাস্তাঘাটে শুধু নারী হওয়ার কারণেই প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে বাধ্য হন মেয়েরা। তা সত্বেও কাজের বাজারে যে মহিলারা আছেন, জীবিকার বাধ্যতায় হেনস্তার ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের অধিকাংশকে।
এ ছাড়া রয়েছে নারী-পুরুষে বেতনবৈষম্য। সমকাজে সমবেতনের আইনটি পাশ হয়েছে বহু দিন হল। কিন্তু এখনও, অসংগঠিত ক্ষেত্র তো বটেই, সংগঠিত ক্ষেত্রেও বহু জায়গায় পুরুষ কর্মীর তুলনায় মহিলা কর্মীরা কম বেতন পান। তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাঙ্ক-বিমা, শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্র–সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে নারী-পুরুষে বেতনবৈষম্য। এই বিষয়টিও কাজের জায়গায় বেশি করে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের নিরুৎসাহিত করছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মহিলা-কর্মীদের মজুরির পরিমাণ এতটাই কম যে, কাজ করার চেয়ে ঘরে থাকাই শ্রেয় মনে করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কৃষিক্ষেত্রেও একই সমস্যা। সেখানে বহু সময় মহিলা-শ্রমিকদের ওপর নানা অমানবিক শর্ত চাপানো হয়। পরিণতিতে কাজ ছাড়তে বাধ্য হন মেয়েরা।
মহিলা-কর্মীর সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাওয়ার পিছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এ দেশে সন্তানপালনের দায়িত্ব প্রধানত মায়েদের ওপরেই ন্যস্ত। শিশুসন্তানকে ঘরে রেখে কাজে যাওয়া খুব স্বাভাবিক কারণেই তাই মেয়েদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারগুলির উচিত ছিল কলে-কারখানায়, কাজের জায়গার কাছাকাছি এলাকায় শিশুদের দেখভালের জন্য ক্রেশের ব্যবস্থা করা। কিন্তু এ দেশে ক্রেশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। তাই সন্তান জন্মের পর বহু মা-ই কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া, আইন থাকা সত্তে্বও মহিলা-কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুযোগ-সুবিধাগুলি দিতে মালিকদের আপত্তি– খুবই সাধারণ ঘটনা। সন্তানের দেখভালের জন্য ছুটি চাইলে অনেক সময়ই মহিলা-কর্মীদের হাতে ছাঁটাইয়ের নোটিস ধরিয়ে দিতে দেখা যায় মালিকদের।
একুশ শতকে দাঁড়িয়ে ভারত যখন একদিকে প্রযুক্তিগত উন্নতিতে আকাশ ছুঁতে চাইছে, অন্যদিকে তখন সনাতন রীতিনীতি, অন্ধ ধর্মীয় চিন্তা ও কুসংস্কারের জালে আটকে-পড়া এ দেশের নারীদের একটা বড় অংশ আজও মানুষের প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রতি তিনজনে একজন মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণভাবে পরিবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করা বা মহিলা কমিশনের কাছে সাহায্য চাওয়ার সুযোগ থাকে না মহিলাদের। ফলে শারীরিক লাঞ্ছনা ও মানসিক যন্ত্রণা বহন করেই কোনও রকমে জীবন কাটায় ভারতের বিপুল সংখ্যক নারী। সমাজে নারীর অবমাননা প্রতিফলিত হয় তাদের প্রতি পুরুষের যৌন হিংসায়। নারীকে মানুষ নয়, শুধুমাত্র ভোগের বস্তু ভাবতে অভ্যস্ত এ দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাই ক্রমেই বেড়ে চলেছে ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনা। পণ দিতে না পারায় খুনের ঘটনা অহরহ ঘটে। পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে ঘরের বাইরে পা রাখতে পেরেছেন নারীদের যে সামান্য অংশটি, এমনকি তাঁদেরও প্রতিনিয়ত সঙ্গী বা সহকর্মী পুরুষদের নানা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবমাননাকর আচরণের সামনে পড়তে হয়। একই সঙ্গে বাড়ছে নাবালিকা-বিবাহের সংখ্যা, যা রুখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা দরকার সরকারগুলির।
এই পরিস্থিতি দূর করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যত বেশি করে মহিলারা উৎপাদনের কাজে এগিয়ে আসার সুযোগ পাবেন, যত বেশি করে তাঁরা রাষ্ট্র-পরিচালনা সহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন, ততই সমাজ-মননে তাঁদের ছোট করে দেখার, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার মানসিকতা দূর হবে। পাশাপাশি আর্থিক স্বনির্ভরতা নারীকে দেবে আত্মবিশ্বাস। বাড়িয়ে দেবে বাধার বিরুদ্ধে তার লড়াই করার ক্ষমতা। কুৎসিত পণপ্রথার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াবার জোর পাবে মেয়েরা। সমাজও নারীকে অবমানুষ নয়, পুরুষের সমকক্ষ মানুষের মর্যাদা দিতে শিখবে। বদল ঘটবে সমাজচেতনার। এতেই নিশ্চিত হবে নারীর সুরক্ষা। শুধু আইন করে এ জিনিস করা সম্ভব নয়। তাই সচেতনতার ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি প্রথম প্রয়োজন মেয়েদের রোজগারের পথ খুলে দেওয়া। শিক্ষার আঙিনায় আরও বেশি করে মেয়েদের টেনে আনার পাশাপাশি তাদের উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত করা। এই কাজগুলি করার ক্ষেত্রে মেয়েদের সামনে যে সব বাধা আছে, সেগুলি দূর করার ব্যবস্থা করা।
একটি স্বাধীন দেশের সরকারেরই এ ব্যাপারে প্রধানত উদ্যোগী হওয়ার কথা। কিন্তু এ দেশে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলির কাউকেই সেই ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় না। কেন্দ্রে বর্তমানে ক্ষমতায় আসীন বিজেপি সরকারের কাছ থেকে অবশ্য এই আশা করারও কোনও অর্থ হয় না। কারণ বিজেপি দলটির আদর্শগত অবস্থানটিই হল নারীসমাজের প্রগতির বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী যতই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর স্লোগান দিয়ে নারীদরদির ভেক ধরুন না কেন, তাঁর দলের আদর্শগত গুরু মোহন ভাগবত মেয়েদের গৃহবন্দি থাকারই নিদান দিয়েছেন। খাওয়া-পরা ও নিরাপত্তার বিনিময়ে স্ত্রী যদি স্বামীর মন যুগিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তাকে ত্যাগ করার অধিকার স্বামীর রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি। উগ্র হিন্দুত্ববাদের চ্যাম্পিয়ন বিজেপি-কর্তারা অহরহ ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনার দায় চাপান মেয়েদের পোশাক-আসাকের ওপর। প্রগতির পরিপন্থী মানসিকতার কারণেই ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর নারী নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আসা সত্তে্বও, এবং নারী নিরাপত্তা খাতে ব্যয় করার জন্য নির্ভয়া তহবিলে বিপুল টাকা বরাদ্দ করা সত্তে্বও, এই সরকার কাজের কাজ কিছুই করেনি। বাস্তবে, নারী নিরাপত্তা বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি এতটাই উদাসীন যে, বছরের পর বছর এই তহবিলের টাকা ঠিকমতো ব্যবহার পর্যন্ত করা হয় না। ফলে কলে-কারখানায়, অফিস-কাছারিতে বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের অন্তর্গত কাজের জায়গাগুলিতে যৌন হেনস্তা রোখার আইনটি যাতে যথাযথ রূপায়িত হয়, সরকার তা দেখবে– এ কথা ভাবাই যায় না। সন্তানের দেখভালের জন্য সরকারের উদ্যোগে ক্রেশ কিংবা বেতনবৈষম্য রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর অস্ত। পাশাপাশি রয়েছে এ দেশের ভয়ানক বেকার সমস্যা এবং চরম গরিবির কারণে শিক্ষার জগৎ থেকে মেয়েদের ক্রমে আরও বেশি করে দূরে সরে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে কাজের জগতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ারই কথা এবং হচ্ছেও তাই।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির তাকালেও একই ছবি নজরে পড়ে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্তে্বও দেখা যাচ্ছে, কাজ করতে সক্ষম পাঁচজন নারীর মধ্যে এ রাজ্যে চারজনই কর্মহীন। রাজ্যের প্রধান প্রশাসক হিসাবে মাসে মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা খয়রাতি করেই মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব সারছেন। যেখানে প্রয়োজন ছিল মেয়েদের আরও বেশি করে শিক্ষার আঙিনায় টেনে আনার ব্যবস্থা করা, সেখানে দেখা যাচ্ছে নাবালিকা বিবাহের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ভারতে গড়ে ২৫ শতাংশ নাবালিকা কন্যার বিবাহ হয়, পশ্চিমবঙ্গে সেই হার ৪২ শতাংশ।
ভারতের সমাজে নারীর এমন বিপন্ন অবস্থানের নিরিখে কাজের জগতে মহিলাদের ক্রমাগত কমতে থাকা সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে যা দরকার, সে সবের ব্যবস্থা করা দূরের কথা, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য– কোনও সরকারেরই কোনও উদ্বেগ পর্যন্ত লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফলে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেই। রামমোহন, বিদ্যাসাগর, জ্যোতিবারাও ফুলে সহ নবজাগরণের মনীষীদের দেখানো পথে এই পরিস্থিতি দূর করতে উদ্যোগী হতে হবে সমস্ত স্তরের সচেতন ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে। আন্দোলনের চাপে সরকারগুলিকে বাধ্য করতে হবে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন ও রূপায়ণে।
গ্রামে-শহরে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যে বাধাগুলি রয়েছে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তা দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে নাবালিকা বিবাহ। সমাজে নারী-পুরুষের সমানাধিকার ও সমমর্যাদা সম্পর্কে চেতনা জাগানোর কাজে পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে নারীদেরও। এই পথেই কাজের জগতে ক্রমে বাড়ানো যাবে মহিলাদের অংশগ্রহণ, সমাজে পূর্ণ মানুষের মতো মাথা উঁচু করতে বাঁচতে যা খুবই প্রয়োজনীয়।