মোদি-ট্রাম্প সমঝোতায় ভারতীয় জনগণের স্বার্থ নেই — এস ইউ সি আই (সি) কেন্দ্রীয় কমিটি

কলকাতা। ২৪ জানুয়ারি

এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২২ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন,

বিশ্বের ঘৃণ্যতম যুদ্ধবাজ, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পাণ্ডা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিজেপি সরকার কর্তৃক ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক হানাদারবাহিনী যারা গণহত্যা চালাচ্ছে, একের পর এক দেশে অপছন্দের শাসককে ষড়যন্ত্র চালিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে, দেশে দেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন ও ধ্বংস চালাচ্ছে, সেই হানাদারবাহিনীর সেনাপতির পদে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশ্রয়হীন শরণার্থীতে পরিণত করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার বাণিজ্য-যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাকে তীব্রতর করেছে।

দিল্লি

এরকম একজন রাষ্ট্রনেতাকে ভারতের জনসাধারণ, যাঁদের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে, কেন স্বাগত জানাবে? মার্কিন রাষ্ট্রপতি ভারতে আসছেন ২০৬ কোটি ডলার মূল্যের ২৪টি আধুনিক সামরিক হেলিকপ্টার বিক্রির জন্য। অন্যদিকে ভারতের মোদি সরকার আমেদাবাদে মাত্র ২ দিনের ৩ ঘণ্টার সফরের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করার পাশাপাশি যেভাবে গুজরাটের মানুষের গরিবি চেহারা চাপা দেওয়ার জন্য বস্তিবাসীদের ঘিরে পাঁচিল তোলার ব্যবস্থা করেছে, তা বিশ্বের সামনে ভারতবাসীকে অসম্মানিত করেছে। তীব্র বেকার সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধি ও আর্থিক মন্দায় বিপর্যস্ত জনগণ কি দুই নেতার বৈঠককে কেন্দ্র করে এগুলিই চেয়েছেন? আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ ও তার আগমনের পিছনে দুই পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী রাষ্টে্রর সামরিক স্বার্থ, বিশেষত সাম্রাজ্যবাদী চীনের বিরুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ উপস্থিতি বৃদ্ধির পরিকল্পনা কাজ করছে, যা কোনওভাবেই ভারতীয় জনগণের স্বার্থের অনুকূল নয়।

এ জন্যই এই সফরের বিরুদ্ধে আমরা ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বত্র প্রতিবাদে সামিল হতে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ২৮ সংখ্যা)