৩১ আগস্ট ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেলের টানেলে বিপর্যয়ের কারণে কলকাতার বউবাজার এলাকায় বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং আরও বহু বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় রয়েছে মানুষ৷ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এস ইউ সি আই (সি)–র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথমত, কলকাতার ওই অঞ্চলে গাঙ্গেয় পলি ও বালির স্তর অনেক নিচে পর্যন্ত বিস্তৃত৷ ফলে এখানে আঞ্চলিক অ্যাকুইফার থাকার প্রবল সম্ভাবনা৷ সেজন্য টানেলের রুট ম্যাপ করার সময় ভূ–প্রযুক্তিগতভাবে আরও বেশি পরীক্ষা–নিরীক্ষা হওয়া উচিত ছিল যাতে নিখুঁতভাবে আঞ্চলিক অ্যাকুইফার নির্ণয় করা যায়৷ এক্ষেত্রে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো রেলের গাফিলতি ক্ষমার অযোগ্য৷ দ্বিতীয়ত, ঘনবসতিপূর্ণ এমন অঞ্চলের নিচ দিয়ে যখন টানেল নিয়ে যাওয়া হয় তখন শুধুমাত্র উপরে যন্ত্র লাগিয়ে কম্পন বা বিকৃতি মাপার ব্যবস্থা রাখলেই চলে না, সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাও রাখা ছিল অত্যন্ত জরুরি যা মেট্রো কর্তৃপক্ষ রাখেনি৷ ফলে বিপর্যয় বুঝতে ও মোকাবিলা করতে বেশ কয়েকদিন চলে যায়৷ ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়৷ তৃতীয়ত, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মাটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী টানেল খননের গতি নির্ধারিত হওয়া উচিত৷ এক্ষেত্রেও জরুরি কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল৷ সংবাদে এ–ও প্রকাশিত যে, টানেল খননে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কিছু নিয়ম ভঙ্গ করেছেন৷ চতুর্থত, বালিস্তর খুবই বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও এই স্তর দিয়েই টানেল করা হল কেন?
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমাদের দাবি– ১) ভূগর্ভস্থ টানেলের কারণে মালিক ও ভাড়াটে সহ বিপর্যস্ত সমস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ২) ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা যাতে না থাকে তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে৷