৮ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটে নেমেছেন মুম্বইয়ের ৩০ হাজার বাস শ্রমিক৷ বিজেপি–শিবসেনার রাজ্য সরকার এবং মুম্বই পুরসভা এই ধর্মঘটী বাস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর পরিবর্তে অগণতান্ত্রিক কালা আইন ‘মেসমা’ (মহারাষ্ট্র এসেন্সিয়াল সার্ভিস মেনটেন্যান্স অ্যাক্ট) জারি করে দমন পীড়নের রাস্তা নিয়েছে৷
এই ধর্মঘটের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রমিক সংগঠন এ আই ইউ টি ইউ সি এবং এস ইউ সি আই (সি) দল৷ ১৩ জানুয়ারি এস ইউ সি আই (সি) মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে দাবি জানায় বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটের উপর বলপ্রয়োগ করা চলবে না৷ দলের মুম্বই সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক কমরেড অনিল ত্যাগী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকার, মুম্বই পুরসভা এবং বেস্ট (বৃহন্মুম্বই ইলেকক্ট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট) কোম্পানির ন্যক্কারজনক মনোভাবই ধর্মঘটী শ্রমিক, তাঁদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশাকে দীর্ঘায়িত করছে৷’ তিনি বাস শ্রমিকদের সমস্ত দাবি পূরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেন৷
মুম্বইয়ের বাস পরিষেবা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গণপরিহণ ব্যবস্থা বলে স্বীকৃত৷ এই পরিষেবার শ্রমিকরাই আজ সংকটে৷ ধর্মঘটী শ্রমিকদের দাবি– বৃহন্মুম্বই পুর করপোরেশন এবং বেস্ট কোম্পানির পরিবহণ বাজেট সংযুক্ত করা, বেতন সেটলমেন্ট, ১৪ হাজারের বেশি অস্থায়ী কর্মীর স্থায়ীকরণ, বোনাস এবং আবাসন সমস্যার সমাধান৷ বেস্ট কোম্পানি বিপুল মুনাফা করলেও বেশিরভাগ বাসকর্মীকে ১২ হাজার টাকার বেশি মাইনে দেওয়া হয় না৷ বিজেপি–শিবসেনা প্রশাসন বাস সংখ্যা ক্রমাগত কমিয়ে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলির পরিবহণ ব্যবসায় সুবিধা করে দিতে চায়৷ ফলে তারা বেস্ট কোম্পানির ১৮ হাজার কর্মী সংখ্যা কমিয়েছে৷ অর্থাভাবের অজুহাতে কর্মীদের শোষণ করছে সরকার এবং বেস্ট কর্তৃপক্ষ৷ অথচ বেসরকারি কনকিয়া কোম্পানির কাছ থেকে বেস্টের পাওনা ৩২০ কোটি টাকা আদায়ে তাদের কোনও উদ্যোগ নেই৷ এস ইউ সি আই (সি) দাবি করেছে বাস পরিষেবাকে মুনাফার দৃষ্টিতে না দেখে জনস্বার্থে দেখতে হবে এবং মুম্বই বাস শ্রমিকদের সমস্ত ন্যায্য দাবি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে৷