২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সময় আজকের মুখ্যমন্ত্রী, তদানীন্তন বিরোধী নেত্রী প্রাইমারি স্তরে পাশ–ফেল চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু কথা রাখেননি৷ এস ইউ সি আই (সি)’র দীর্ঘ আন্দোলন, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ডাকা বাংলা বনধ ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পাশফেল চালুর পক্ষে মত দেন৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রে পাশফেল চালুর পক্ষে আইনও তৈরি হয়েছে৷ দেশের বেশির ভাগ মানুষ বিশেষত এ রাজ্যের মানুষ প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশফেল চাইলেও অন্তত পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ–ফেল চালু করতে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছে৷ তবু তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রী পাশ–ফেল চালু করেননি৷ বাস্তবে তৃণমূল সরকারের এই টালবাহনা পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা জীবনের সর্বনাশ করেই চলেছে৷ অন্য দিকে শিক্ষা–ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে চলেছে৷
মুখ্যমন্ত্রী কি মনে করেন, এইভাবে টালবাহানা করে ভোট উতরে দিতে পারলেই মানুষ সব ভুলে যাবে? কিন্তু তা হওয়ার নয়৷ এই নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই এস ইউ সি আই (সি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাশ–ফেল চালুকে অন্যতম দাবি হিসাবে রেখে৷ নির্বাচন শেষ হলে আরও অনেক বেশি শক্তি নিয়ে পাশ–ফেল চালুর আন্দোলন গড়ে উঠবে৷