রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে আই সি এম আর-এর গাইড লাইন মেনে আলাদা ফিভার ক্লিনিক ও ওয়ার্ড পরিচালনা না করা, ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই, এন-৯৫ মাস্ক ও গ্লাভস না দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোভিড-১৯ পরীক্ষা না করানোর ফলে একের পর এক হাসপাতালে করোনা রোগীরা নন-কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি থাকায় সংস্পর্শে আসা সমস্ত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারান্টাইনে চলে যেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে রাজ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রয়োজনীয় অনেকগুলি বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন এসডিএফ-এর আশঙ্কা, এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। অসহায় মানুষ বিনা চিকিৎসায় মরবে।
এসডিএফ-এর পক্ষ থেকে গত ১৬ মার্চ থেকেই বারবার সব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পিপিই, এন-৯৫ মাস্ক ও গ্লাভসের দাবিতে একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে, গাইডলাইন মেনে হাসপাতালে আলাদা ফিভার ক্লিনিক ও ওয়ার্ড খোলার জন্য এবং করোনা রোগীকে আলাদা করার ব্যবস্থা চালু করতে। কিন্তু সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ১৭ এপ্রিল আবার মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। বলা হয়, দাবি না মানলে চিকিৎসকরা আন্দোলনের রাস্তায় যেতে বাধ্য হবে।