মিড ডে মিল কর্মীরা মারাত্মক বঞ্চনার শিকার। খাবার রান্না, পরিবেশন ও বাসন ধোয়া সহ সব কাজই করতে হয়। এই হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তাঁরা মাসে মাত্র ১৫০০ টাকা পান। বছরে ১২ মাস নয়, মাত্র ১০ মাস তাঁরা এই টাকা পান। কোনও প্রকার সামাজিক সুরক্ষা, পিএফ, পেনশন বা অবসরকালীন ভাতা দেওয়া হয় না। ‘সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন’ বহু বার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে মিড ডে মিল কর্মীদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার। কোনও ফল হয়নি। এই কর্মীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে আসা মহিলা। বেশিরভাগ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পরিযায়ী শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে তারাও কর্মহীন।
এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে মিড-ডে-মিল কর্মীরা ১৯ ডিসেম্বর হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকে মামুদপুর অন্নদাপ্রসাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভায় যোগ দেন। সভায় বক্তব্য রাখেন মিড ডে মিল ইউনিয়নের সংগঠক অঞ্জু কোলে ও রীনা বক্সী। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন এ আই ইউ টি ইউ সি-র সংগঠক নিখিল বেরা। সভা থেকে সুবর্ণা ঘোষালকে সভানেত্রী, অঞ্জু কোলেকে সম্পাদিকা ও অনিতা কাঁড়ালকে কোষাধ্যক্ষ করে মিড ডে মিল কর্মীদের আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয়। ২৬ জানুয়ারি রাজভবন অভিযান সফল করার জন্য জন্য সকলকে আবেদন জানানো হয়।