মিড-ডে মিলে মাথাপিছু ২০ টাকা বরাদ্দ সহ ৫ দফা দাবিতে ২৪ আগস্ট বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা এবং কলকাতা জেলা সম্পাদিকা সুমিতা মুখার্জির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে ডেপুটেশন দেন।
মিড ডে মিলে ছাত্রপিছু বরাদ্দ প্রাথমিকে মাত্র ৪.৯৭ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৭.৪৫ টাকা। বর্তমানে সমস্ত জিনিসপত্রের সঙ্গে গ্যাসের দাম প্রতিদিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে ওই সামান্য টাকায় মিড-ডে মিলের খরচ চালাতে শিক্ষকদের নাভিশ্বাস উঠছে। পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া তো দূরের কথা। পাশাপাশি মিড-ডে মিল ওয়ার্কারদের অবস্থাও চরম সঙ্কটে। ৫০ জন ছাত্র পিছু ১ জন হিসেবে তাদের মাত্র ১৫০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করানো হয়। তাও গ্রীষ্মের ছুটি ও পুজোর ছুটির সময়ে সামান্য এই ভাতাটুকুও দেওয়া হয় না। আরও অমানবিক বিষয় হল, যাঁরা রান্না করেন, সেই রাঁধুনিদের জন্য পর্যন্ত কোনওরকম খাদ্যের বরাদ্দ নেই।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নাকি উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলছে! অথচ ক্ষুধা তালিকার শীর্ষে ভারত, যেখানে প্রতি ৩ জন শিশুর ১ জন অপুষ্টিতে ভুগছে। তা সত্ত্বেও করোনাকালে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে করোনাকালের প্রাপ্য বকেয়া অর্থ ও চাল ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি মিড-ডে মিলে মাথাপিছু ২০ টাকা বরাদ্দ, পৃথকভাবে গ্যাস বা জ্বালানির বরাদ্দ, ৫০ জনের কম ছাত্রযুক্ত বিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ বরাদ্দ সহ মিড-ডে মিল ওয়ার্কারদের সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।