সাংসদ-বিধায়করা আইনের স্রষ্টা। তাঁরা নিজেদের ভাতা-বেতন নিজেরাই বাড়ানোর বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু এঁরা মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা সামান্য পরিমাণে বাড়ানোর কথাও ভাবেন না। এ রাজ্যে মিড ডে মিল কর্মীরা ভাতা পান মাসে ১৫০০ টাকা। তাও আবার বছরে ২ মাসের টাকা দেয় না সরকার।
মালদা জেলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের নেত্রী সাথী চৌধুরী জানালেন, হরিশচন্দ্রপুরে সরকারি ভাবে ধার্য ১৫০০ টাকাও দেওয়া হয় না, কোথাও ৫০০ টাকা, কোথাও ৬০০ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা কোথায় গায়েব হয়ে যায়? এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন।
প্রকল্পের সার্বিক উন্নতি, ছাত্রীদের খাবারের মান উন্নয়ন ও বরাদ্দ বৃদ্ধি সহ ১৩ দফা দাবিতে ২৬ মার্চ কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা। তার সমর্থনে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতপুরে ১৬ মার্চ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেন ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা সুনন্দা পণ্ডা, মালদা জেলা সংগঠক সাথী চৌধুরী, স্থানীয় মিড-ডে মিল কর্মী সাবিনা বিবি।
উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের হীরাপুর অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে ১৭ মার্চ গৌরীপুর মনসাতলায় একটি সভা হয়। বক্তব্য রাখেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের সংগঠক মমতা মণ্ডল ও পম্পা সরকার, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স ইউনিয়নের হাওড়া জেলা সংগঠক চন্দনা সামন্ত।
১৪ মার্চ বাড়গাজীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন নারিট অঞ্চল মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের সংগঠক সুষমা মণ্ডল ও সবিতা চোঙদার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এ আই ইউ টি ইউ সি হাওড়া জেলার সংগঠক নিখিল বেরা।