এস ইউ সি আই (সি)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২৯ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, মায়ানমারের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে সেখানকার সামরিক জুন্টা যেভাবে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে ও শত শত মানুষকে আহত করছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।
অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সেখানকার যে নির্বাচিত সরকারকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মায়ানমারে নাগরিকরা পথে নেমেছেন। নিরীহ নাগরিকদের ওপর রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট মিলিটারির এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রকামী মানুষ দ্ব্যর্থহীনভাবে ধিক্কার জানাচ্ছে। অথচ ভারত সরকার আজ পর্যন্ত এই গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত প্রকাশ করল না। শুধু তাই নয়, গত ২৭ মার্চ, যেদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আন্দোলনরত ১১৪ জন নাগরিকের মৃত্যু হয় এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়, সেদিনই অভ্যুত্থানকারী সেনাকর্তাদের একটি সামরিক মহড়ায় যোগ দেয় ভারত। যথার্থভাবেই মায়ানমারের নাগরিকরা এই ঘটনায় তীব্র ঘৃণা ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমাদের রক্তে যে সেনাকর্তাদের হাত ভেজা তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের এই হাত-মেলানো শুধু যে ভারতবাসীদের জন্য অসম্মানজনক তাই নয়, গোটা বিশ্বের মানুষের জন্যই লজ্জার।’
শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভারতবাসীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, মায়ানমারের সংগ্রামী ভাইদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের পাশে সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়ান এবং ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন যাতে তারা কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীকে এই বর্বরতা বন্ধ করে নির্বাচিত সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করে।