চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের নেতা মাস্টারদা সূর্য সেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তারকেশ্বর দস্তিদার ফাঁসির মঞ্চে শহিদের মৃত্যু বরণ করেন ১৯৩৪-এর ১২ জানুয়ারি। এর ঠিক এক বছর আগে মেদিনীপুরে শহিদ প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যও ফাঁসির মঞ্চে জীবন উৎসর্গ করেন। এ বছর ১২ জানুয়ারি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অসংখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস, কমসোমল। কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে সকালে সূর্য সেনের মূর্তির পাদদেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনগুলির রাজ্য নেতৃবৃন্দ। প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য স্মরণেও বিভিন্ন শহর ও গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শহিদ বেদি স্থাপন ও মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পালিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকের এই স্বাধীন ভারতেও মানবতা পদদলিত। অনাহারক্লিষ্ট মানুষের হাহাকার সংবেদনশীল মানুষের বুকে ব্যথার আলোড়ন তোলে। এই পরিস্থিতিতে মাস্টারদা সূর্য সেন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের আপসহীন ধারার শহিদদের বীরত্বপূর্ণ লড়াই থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। শোষণমুক্তির বিরুদ্ধে আজকের সংগ্রামের মধ্যেই তিনি এবং তাঁর মতো বিপ্লবীরা বেঁচে আছেন।