আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক শাসন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করে যাচ্ছে ‘রেভোলিউশনারি আফগান উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)। তালিবান এবং মার্কিন দখলদারির মধ্যে বহু বাধা অতিক্রম করে তাঁরা লড়ছেন। সম্প্রতি কাবুলে তালিবান অধিকার প্রতিষ্ঠার পর ২১ আগস্ট রাওয়ার এক প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার নেন ‘আফগান উইমেন্স মিশন’-এর কো-ডাইরেক্টর সোনালি কোলহাটকর। সেই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ আমরা প্রকাশ করছি।
প্রশ্নঃ মার্কিন সেনা কি এর থেকে ভাল এবং সুরক্ষিত অবস্থায় আফগানিস্তানকে রেখে যেতে পারত না? তালিবান যাতে এত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা দখল করতে না পারে তার ব্যবস্থা কি প্রেসিডেন্ট বাইডেন করতে পারতেন না?
রাওয়াঃ আমরা বিগত ২০ বছর ধরে আমেরিকা ও ন্যাটোর দখলদারি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এসেছি। সবচেয়ে ভাল হত যাবার সময় যদি ওরা ওদের সৃষ্ট মুসলিম মৌলবাদী এবং আমলাদের সঙ্গে করে নিয়ে গেলে। তাহলে আমাদের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা গড়ে নিতে পারত। মার্কিন দখলদারি আফগানিস্তানকে কেবলমাত্র রক্তপাত, ধ্বংস আর বিশৃঙ্খলা উপহার দিয়েছে। ওরা আমাদের দেশটাকে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত, বিপদসংকুল, ড্রাগ মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য আর মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক এক স্থানে পরিণত করে গেছে।
২০০১-এর অক্টোবর মাসে মার্কিন দখলদারির শুরুর দিনগুলি থেকেই আমরা এই আশঙ্কার কথা বলে যাচ্ছি। আমরা বলেছিলাম, মার্কিন আক্রমণ যদি চলতে থাকে এবং তাতে নিরীহ অসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলে, তা তালিবানের পক্ষেই জমি তৈরি করবে। একই সাথে তা আফগানিস্তানের পাশাপাশি সারা দুনিয়া জুড়েমৌলবাদী শক্তিগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আমরা এই দখলদারির বিরুদ্ধতা করেছি তার প্রধান কারণ– তা ছিল সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের চটকদার ঘোষণার আড়ালে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা। দখলদারির একেবারে প্রথম দিকে ২০০২ সালে শান্তি আলোচনার নামে ‘নর্দান অ্যালায়েন্সের’ খুনে এবং লুটেরাদের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, আবার এই শেষ পর্বে ২০২০-২১-এ দোহায় শান্তি আলোচনার নামে বোঝাপড়ার চুক্তি করে ৫ হাজার সন্ত্রাসবাদীকে জেলমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে একটা বিষয় নিশ্চিত বোঝা যায়, এই সেনা প্রত্যাহার ভাল কিছু দিয়ে যাচ্ছে না।
পেন্টাগন প্রমাণ করে দিয়েছে, যে বুকনির আড়ালেই হোক না কেন, অন্য দেশ আক্রমণ এবং তার শাসন ব্যবস্থায় নাক গলানোর মধ্য দিয়ে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যায় না। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি দেশে দেশে আক্রমণ চালায় তাদের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতলব হাসিল করতে। সব ক্ষেত্রেই তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও মতলবকে আড়াল করতে শক্তিশালী কর্পোরেট সংবাদমাধ্যম একটানা প্রচার চালিয়ে যায়।
শুনলে হাসি পায় যে, নারীর অধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জাতি গঠন প্রভৃতি নাকি ছিল মার্কিন ন্যাটো বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য! আমেরিকা আফগানিস্তানে ঢুকেছিল এই এলাকাকে অস্থির করে তুলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী চিন এবং রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের ঘেরাটোপের মধ্যে ফেলতে। আঞ্চলিক যুদ্ধে ফাঁসিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াতে। …
আমরা বিশ্বাস করি নিজেদের আজ্ঞাবহ শক্তির (তালিবান) কাছেহেরে নয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাদের নিজস্ব দুর্বলতার কারণেই আফগানিস্তান ছেড়েছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর পিছনে আছে– প্রধান কারণ আমেরিকা আজ বহুমুখী অভ্যন্তরীণ সংকটের কবলে। কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় দুর্বলতা মার্কিন ব্যবস্থার ক্ষয়কে প্রকট ভাবে দেখিয়ে দিয়েছে। ক্যাপিটাল হিলে হাঙ্গামা, আমেরিকা জুড়ে বিগত কয়েক বছরে সংগঠিত গণপ্রতিবাদ ইত্যাদি যে আভ্যন্তরীণ সংকটকে তুলে ধরেছে তার ফলে মার্কিন নীতি নির্ধারকরা আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বেশি মন দেওয়ার প্রয়োজনে আপাতত সেনা প্রত্যাহারের দিকে গেছেন।
দ্বিতীয়ত, আফগান যুদ্ধের খরচ হয়েছে ট্রিলিয়ন ডলারের হিসাবে। যা নজিরবিহীন। এর পুরোটাই এসেছে করদাতাদের ঘাড় ভেঙে। এই খরচ মার্কিন অর্থব্যবস্থায় ভালই দাঁত বসিয়েছে। ফলে আফগানিস্তান থেকে তাদের পিছিয়ে আসতে হয়েছে।
মার্কিন যুদ্ধবাজদের নীতি দেখিয়ে দিয়েছে কখনওই আফগান জনগণের নিরাপত্তার জন্য তাদের কোনও মাথাব্যথা ছিল না, এমনকি ছেড়ে যাওয়ার সময়েও তারা তার প্রমাণ রেখে গেছে। তারা ভালই জানত এই সেনা প্রত্যাহারে বিশৃঙ্খলা ঘটবে, এবং তারা সেভাবেই এগিয়েছে। এখন আফগানিস্তান আবার প্রচারের আলোয়, কারণ তালিবান ক্ষমতায় এসেছে। যদিও, বিগত ২০ বছর ধরে এই পরিস্থিতিই চলছে। প্রতিদিন আমাদের দেশের শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, দেশটা প্রতিদিন ধ্বংস হয়েছে। এর খুব সামান্য অংশই সংবাদমাধ্যমে স্থান পেয়েছে।
প্রশ্নঃ তালিবান নেতৃত্ব বলছে, ইসলামি আইন অনুসারে যতদূর সম্ভব ততদূর তারা মহিলাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে। কিছু পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে সদর্থক ভাবে দেখাচ্ছে। ২০ বছর আগেও কি তালিবান এসব বলেনি? আপনারা কি মনে করেন, মানবাধিকার এবং নারীর অধিকারের প্রশ্নে তাদের কোনও দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন হয়েছে?
রাওয়াঃ কর্পোরেট সংবাদমাধ্যম বিপন্ন মানুষের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছে। ওরা যে ভাবে চিনিমাখা প্রলেপ দিয়ে বর্বর তালিবানকে উপস্থিত করছে, ওদের উচিত ছিল নিজেদের কাছেই লজ্জা পাওয়া। তালিবান মুখপাত্ররা পরিষ্কার ঘোষণা করেছে ১৯৯৬ থেকে আজ পর্যন্ত তাদের নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। আজ মহিলাদের অধিকার নিয়ে তারা যা বলছে, তা তাদের পূর্বতন অন্ধকার জমানার কথাগুলির সাথে হুবহু মিলে যায়। সে সময়েও তারা শরিয়তি আইন প্রবর্তনের কথাই বলেছিল।
তালিবান এখন আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমা ঘোষণা করে স্লোগান দিচ্ছে, ‘প্রতিশোধে নয়, ক্ষমাতেই আনন্দ’। কিন্তু বাস্তবে তারা প্রতিদিন মানুষ খুন করছে। গতকালই তারা একটি বালককে গুলি করে খুন করেছে, কারণ তার হাতে ছিল ত্রিবর্ণ আফগান জাতীয় পতাকা, তালিবানের সাদা পতাকা নয়। কান্দাহারে তারা চারজন প্রাক্তন সেনা অফিসারকে খুন করেছে। ফেসবুকে তালিবান বিরোধী কবিতা লেখার জন্য হেরাট প্রদেশে তরুণ আফগান কবি মেহরান পোপালকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর কোনও খোঁজ পরিবার পায়নি। ‘মনোরম’ পরিশিলিত আচরণের আড়ালে এই হল তাদের হিংস্র কার্যকলাপের কয়েকটি উদাহরণ।
… তালিবান বলছে ওরা মহিলাদের অধিকারের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু তা শরিয়া আইনের পরিধির মধ্যে থাকতে হবে।
শরিয়া আইন ব্যপারটাই ঘোলাটে, নানা সময় নানা ইসলামিক শাসক তাদের রাজনৈতিক এবং শাসনগত সুবিধার জন্য তার নানা ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাছাড়া তালিবান চাইছে, পশ্চিমি শক্তিগুলির কাছে গুরুত্ব পেতে ও স্বীকৃতি আদায় করতে। তাই এই সব কথা দিয়ে নিজেদের আসল চেহারার উপর একটা সাদা প্রলেপ দিতে চাইছে। এমনও হতে পারে কিছু মাস পরে ওরা বলল, আমরা ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাই আমরা নির্বাচন করব! এই সমস্ত ভান তাদের কোনও চরিত্রকেই পাল্টে দেয় না। ওরা একই রকমভাবে ইসলামিক মৌলবাদী, নারীবিদ্বেষী, অমানবিক, বর্বর, প্রতিক্রিয়াশীল, গণতন্ত্র বিরোধী, প্রগতি বিরোধী হয়েই আছে। এক কথায়, তালিবান মানসিকতা পরিবর্তন হয়নি, কোনও দিন তা হবেও না।
প্রশ্নঃ মার্কিন মদতপুষ্ট আফগান সরকার এবং সরকারি সেনাবাহিনী এত দ্রুত ভেঙে পড়ল কেন?
রাওয়াঃ অনেক কারণের মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল–
১) তালিবানের হাতেই আফগানিস্তানকে তুলে দেওয়া নিয়ে বোঝাপড়া হয়েছে, সেই অনুসারেই সব চলেছে। পাকিস্তান এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পক্ষগুলির সাথে বোঝাপড়া করেই মার্কিন সরকার মূলত তালিবানকে সামনে রেখে আফগানিস্তানে সরকার গড়ার চুক্তি করেছে। আফগান সরকারি সৈন্যরা জানত, এই যুদ্ধে আফগান জনগণের কোনও লাভ নেই। কারণ তালিবানকে ক্ষমতায় বসানোর চুক্তি বন্ধ দরজার পিছনে হয়েই আছে। ফলে তারা এমন একটা যুদ্ধে প্রাণ দিতে ইচ্ছুক ছিল না।…
২) বেশিরভাগ আফগান জনগণ বোঝেন, আফগানিস্তানে যে যুদ্ধে চলছে, তা আফগানদের যুদ্ধ নয় এবং এতে দেশের কোনও ভালও হবে না। বিদেশি শক্তিরা তাদের সামরিক কৌশলগত স্বার্থে এই যুদ্ধ চালাচ্ছে, আফগানরা এর জ্বালানিমাত্র। বেশিরভাগ যুবক সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে ভয়াবহ দারিদ্র এবং বেকারত্বের জন্য। ফলে তাদের যুদ্ধ করার জন্য কোনও মানসিক শক্তি কিংবা দায়বদ্ধতা নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমি দেশগুলি আফগানিস্তানে শিল্প গড়ে ওঠায় বাধা দিয়েছে। যাতে আফগানিস্তানকে উপভোক্তা বানিয়েই রাখা যায়। তাতে বেকারত্ব এবং দারিদ্রের ঢেউ দেশকে গ্রাস করেছে। এর ফলে পুতুল সরকার তাদের কাজের লোক পেয়েছে। তালিবানের বৃদ্ধি এবং আফিম উৎপাদনেও তা সাহায্য করেছে।
৩) সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ভেঙে পড়ার মতো দুর্বল শক্তি আফগান বাহিনী ছিল না। কিন্তু তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত না করা এবং আত্মসমর্পণ করার আদেশ তারা পাচ্ছিল রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকেই। …
৪) হামিদ কারজাই এবং আশরাফ গনির পুতুল সরকার বছরের পর বছর তালিবানকে ‘অসন্তুষ্ট ভাই’ বলে ডেকে এসেছে। তাদের বহু চরম নিষ্ঠুর সেনাপতি এবং নেতাকে সরকার জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। …এর ফলে তালিবান শক্তি পেয়েছে, সেনাবাহিনীর মনোবল ধাক্কা খেয়েছে।
৫) আফগান সশস্ত্র বাহিনীর নজিরবিহীন দুর্নীতিতে জর্জরিত। বেশ কিছু জেনারেল (যারা বেশিরভাগই নির্মম নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রাক্তন যুদ্ধ-সেনাপতি) কাবুলে বসেই লক্ষ লক্ষ ডলার কামিয়েছে। তারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধরত সেনাদের খাদ্য এবং বেতনও পকেটে পুরেছে। ‘সিগার’ (স্পেশ্যাল ইনসপেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকন্সট্রাকশন) দেখিয়েছে, সেনা বহিনী ‘ভুয়ো’ সৈনিকে ভরা। উচ্চপদস্থ অফিসাররা নিজেদের পকেট ভরাতেই ব্যস্ত থেকেছে। অস্তিত্বহীন সেনাকর্মীদের বেতন, রেশন ইত্যাদি এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছে।
৬) কোথাও কঠিন যুদ্ধে সেনারা তালিবানের হাতে বন্দি হলে তাদের সাহায্যের আবেদন কাবুল অগ্রাহ্য করেছে। এমন প্রচুর ঘটনা আছে যেখানে শত শত সৈন্যকে কোনও অস্ত্র এবং খাদ্য ছাড়াই সপ্তাহের পর সপ্তাহ পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে অফিসাররা বাধ্য করেছে। যার সুযোগে তালিবান শত শত সৈনিককে হত্যা করেছে। সে জন্যই আফগান সেনাদের মৃত্যুর হার এত বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে (ডাভোস ২০১৯) আশরাফ গনি স্বীকার করেছিলেন ২০১৪ থেকে ৪৫ হাজারের বেশি আফগান সেনাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে একই সময় মার্কিন-ন্যাটো জোটের মাত্র ৭২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
৭) সর্বোপরি সমাজে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, অবিচার, বেকারত্ব, নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা, জালিয়াতি, বিপুল দারিদ্র, ড্রাগ পাচার এবং স্মাগলিং ইত্যাদি তালিবানের পুনরুত্থানে সাহায্য করেছে।
প্রশ্নঃ রাওয়া ও আফগান জনগণকে নারীর অধিকারের প্রশ্নে সাহায্য করার জন্য মার্কিন জনগণের কর্তব্য কী?
রাওয়াঃ আমরা ভাগ্যবান এবং খুশি। কারণ, এই বছরগুলিতে আমেরিকার স্বাধীনতাকামী জনগণকে আমরা পাশে পেয়েছি। আমরা চাই আমেরিকার জনগণ তাদের সরকারের যুদ্ধবাজ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত করুক। এর মধ্য দিয়েই বর্বর শক্তির বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জনগণের লড়াইকে সাহায্য করা যাবে।
… শান্তিকামী, প্রগতিশীল, বামপন্থী এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি ও সংগঠনের কর্তব্য হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও ক্যাপিটল হিলে বসে থাকা নির্মম যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে লড়াইকে তীব্রতর করা। এই পচে যাওয়া ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে ন্যায় এবং মানবতার অভিমুখে নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা শুধু দরিদ্র, শোষিত মার্কিন জনগণকে মুক্তি দেবে না, তার প্রভাব পড়বে সারা দুনিয়ার প্রতিটি কোণে।
আমরা আফগানিস্তানে ধর্মর্নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন ও নারীর অধিকারের লক্ষ্যে আমাদের কণ্ঠস্বরকে জোরদার করব, সংগ্রামকে তীব্রতর করে তুলব।