১৯ মে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ এক বিবৃতিতে বলেন, যে দ্রুততায় বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতির সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ করছে তার পরিকল্পনা বহু আগে থেকেই গোপনে ছকে রাখা ছিল, অপেক্ষা ছিল সুযোগ বুঝে সেই পরিকল্পনা ঘোষণার। বর্তমানে যখন করোনা অতিমারির আঘাত ও ত্রাণের ক্ষেত্রে সরকারি প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতার কারণে গোটা দেশের মানুষ বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন, ঠিক সেই সুযোগেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা চালু করে দিতে চেয়েছে। দেশীয় ও বিদেশি কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থরক্ষা করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ক্ষমতা হাসিল করেছে বিজেপি। এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়েই তারা ক্ষমতা দখলের জন্য অর্থ ও প্রচারমাধ্যমের সহায়তা পেয়েছে। এখন একচেটিয়া পুঁজির প্রতি নিজেদের বিপুল আনুগত্য প্রদর্শনের তাড়ায় কেন্দে্রর বিজেপি সরকার জনগণের চোখের সামনে নিজের মুখোস খসিয়ে ফেলছে।
‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর আবরণের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকার লাগামছাড়া লুটপাটের জন্য বিদ্যুৎ, কয়লা, খনি, পরিবহণ, জ্বালানি, কৃষি, পরিকাঠামো, আর্থিক পরিষেবা এবং এমনকি প্রতিরক্ষার মতো অর্থনীতির প্রধান ক্ষেত্রগুলিকে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের হাতে সম্পূর্ণ ভাবে তুলে দিয়েছে।
যে বিজেপি সরকার কর্পোরেট কর ব্যাপক কমিয়ে গত আর্থিক বর্ষে ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি করেছে এবং গত দু’মাসে জ্বালানির ওপর অতিরিক্ত কর বসিয়ে ২ লক্ষ কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে আদায় করেছে, তারা দেশের হতদরিদ্র মানুষের হাতে অর্থসাহায্য তুলে দেওয়ার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেনি।
আজ সময় এসেছে এই নিষ্ঠুর বঞ্চনা ও প্রতারণার বিরুদ্ধে দুর্দশাগ্রস্ত দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ ভাবে আওয়াজ তোলার এবং এই অভূতপূর্ব অতিমারি ও তার পরিণতিতে সাধারণ মানুষের দুর্দশা ও অসহায়তার সুযোগ নিয়ে মুনাফাবাজ একচেটিয়া ব্যবসায়ীদের হাতে সুবিধার ডালি তুলে দেওয়ার বুর্জোয়া ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করার।