মহিলা কৃষকদের অনুদান বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রীর নয়া প্রতারণা

কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। ঘোষণা করেনি বহু ফসলের এমএসপি। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেওয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি ‘জুমলা’ তথা মিথ্যাচার বলে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি সার-বীজ-কীটনাশক সহ সব কৃষি উপকরণগুলিকে বেসরকারি মালিকদের ব্যবসার জন্য তুলে দেওয়ায় সেগুলির ব্যাপক দামবৃদ্ধি ঘটেছে। কৃষকদের সমস্যা মেটাতে সরকার চরম ব্যর্থ। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে কৃষকদরদি সাজতে মোদি সরকার মহিলা কৃষকদের অনুদান পুরুষ কৃষকদের তুলনায় দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছে।

হঠাৎ মহিলা কৃষক কেন? সমস্ত কৃষক সম্প্রদায়ের কথা বলছেন না কেন তাঁরা? এখানেই রয়েছে নয়া প্রতারণা। সরকারি তথ্য বলছে, সারা দেশে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের ৬০ শতাংশই মহিলা। অথচ তাদের ১৩ শতাংশেরও কম জনের রয়েছে জমির মালিকানা। ফলে এই ঘোষণার দ্বারা বাস্তবে তেমন কোনও আর্থিক দায়িত্বই সরকারকে পালন করতে হবে না। অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ মহিলা কৃষকই রয়ে গেলেন এই প্রকল্পের বাইরে।

তা হলে সরকার তা করল কেন? আসলে অনুদান দ্বিগুণ করে বছরে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা আসন্ন নির্বাচনে কৃষক দরদের ফানুস ওড়াতে সাহায্য করবে। বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোট কুড়নো যাবে। এই মতলব থেকেই তাদের এই ঘোষণা।

কী বলছেন কৃষকরা? অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রেণুপদ হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা লোকঠকানো চমক ছাড়া কিছু নয়। এতে কৃষকের প্রকৃত আয় বাড়বে না।’ (সূত্রঃ টেলিগ্রাফ, আনন্দবাজার ১০-১-২০২৪)