‘‘বিপ্লবী ক্যাডারদের শিক্ষাদানের জন্য যে জ্ঞানের দরকার এবং বিপ্লবী জনসাধারণকে শিক্ষাদানের জন্য যে জ্ঞানের দরকার– এই দুই জ্ঞানের মধ্যে যেমন মাত্রাগত পার্থক্য নিরূপণ প্রয়োজন, তেমনই তাদের পারস্পরিক সংযোগসাধনও প্রয়োজন; সংস্কৃতির মানের উন্নতিসাধনের সঙ্গে তার ব্যাপক বিস্তৃতির পার্থক্য নিরূপণ এবং সংযোগসাধনও প্রয়োজন। বিপ্লবী সংস্কৃতি জনসাধারণের হাতে শক্তিশালী বিপ্লবী হাতিয়ার। বিপ্লব শুরু হওয়ার আগে বিপ্লবী সংস্কৃতি মতাদর্শের দিক থেকে বিপ্লবের পথ প্রস্তুত করে; বিপ্লবের সময়ে এই বিপ্লবী সংস্কৃতি সাধারণ বিপ্লবী ফ্রন্টের মধ্যে এক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট। আর বিপ্লবী সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই সাংস্কৃতিক ফ্রন্টে বিভিন্ন স্তরের সেনাধ্যক্ষ। ‘বিপ্লবী তত্ত্ব ছাড়া বিপ্লবী আন্দোলন সম্ভব নয়’– এ থেকে দেখা যায় বাস্তব বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য বিপ্লবী সাংস্কৃতিক আন্দোলন কত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বাস্তব আন্দোলন উভয়ই জনসাধারণেরই আন্দোলন।”