২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনের মহান নেতা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ সমগ্র দেশের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ইংরেজিতে একটি আলোচনা করেন যা অনলাইনে সম্প্রচারিত হয়। ৫ আগস্ট মহান এঙ্গেলসের ১২৬তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে সেই ইংরেজি আলোচনাটির বঙ্গানুবাদ ধারাবাহিকভাবে আমরা প্রকাশ করছি। অনুবাদে কোনও ভুলত্রুটি থাকলে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের। এবার চতুর্থ পর্ব। – সম্পাদক, গণদাবী
এঙ্গেলসই মার্কসকে অনাহারে মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছেন
মার্কস এবং তাঁর পরিবার কয়েক দশক ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছেন। এঙ্গেলসই সেই ব্যক্তি যিনি মার্কস ও তাঁর পরিবারকে ক্ষুধা থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এঙ্গেলস একটা কোম্পানির কাজের দেখাশোনা করতেন, যেখানে তাঁর পিতার অংশীদারিত্ব ছিল। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এঙ্গেলস এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিছুদিন কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও তিনি কাজে যোগ দেন শুধুমাত্র মার্কসকে সাহায্য করার জন্য। তাঁর পিতা মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য অংশীদারির সবটাই তিনি বিক্রি করে দেন। যে টাকা তিনি পান, তাই দিয়ে মার্কসকে সাহায্য করতেন।
আরও একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, এঙ্গেলসই হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি সর্বহারা শ্রেণির মুক্তিসংগ্রাম ও তার মাধ্যমে শ্রেণি-বিভাজন ও শ্রেণিশোষণ চিরতরে দূর করার প্রথম পথনির্দেশক হিসাবে মার্কসের মহান ভূমিকাকে উপলব্ধি করেন। সেই কারণেই তিনি মার্কসের মূল্যবান জীবনকে যে-কোনও মূল্যে রক্ষা করাকে আবশ্যিক দায়িত্ব বলে মনে করতেন।
মার্কস একটা চিঠিতে এর স্বীকৃতি দিয়ে এঙ্গেলসকে লিখেছিলেন, ‘‘নিদারুণ দুঃখের এই দিনগুলি অতিবাহিত করার সময় তোমার কথা ও তোমার বন্ধুত্ব এই আশা নিয়ে আমাকে এগোতে সাহায্য করেছে যে এই পৃথিবীতে এখনও আমাদের একত্রে মূল্যবান কিছু করার আছে।” পুনরায় ১৮৬২ সালে মার্কস লিখেছিলেন, ‘‘কয়েক দিনের জন্য তুমি কি এখানে আসতে পার না? আমি সমালোচনামূলক বেশ কিছু পুরানো বিষয় জমিয়ে রেখেছি, যেগুলোতে এমন কিছু পয়েন্ট আছে যা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে তোমার সাথে পরামর্শ করে নিতে চাই।” লক্ষ করুন, এঙ্গেলসের মতামতের উপর মার্কস কতটা গুরুত্ব দিতেন। মার্কস পুঁজি গ্রন্থের প্রুফগুলি এঙ্গেলসের কাছে পাঠিয়ে লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর আর যে যাই বলুক, তোমার পরিতৃপ্তিই আমার কাছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” ভাবুন, এঙ্গেলসের বন্ধুত্ব ও তাঁর মতামতকে মার্কস কতটা মূল্য দিতেন!
মার্কসের ঐতিহাসিক অবদান সম্পর্কে এঙ্গেলস
১৮৭৭ সালে মার্কসের ঐতিহাসিক অবদান সম্পর্কে একটি প্রবন্ধে এঙ্গেলস লিখেছেন, ‘‘কার্ল মার্কসই সর্বপ্রথম সমাজতন্ত্রের এবং তার ফলে আমাদের যুগের সমগ্র শ্রমিক আন্দোলনের বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি দিয়ে যান। … আগে ইতিহাস সংক্রান্ত সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গিগুলির ভিত্তি ছিল এই ধারণা যে, ইতিহাসের সমস্ত পরিবর্তনের মূল কারণ খোঁজা দরকার মানুষের পরিবর্তনশীল ধ্যানধারণার মধ্যে এবং সমস্ত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষের এই ধ্যানধারণা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সমগ্র ইতিহাসের উপর এরই আধিপত্য। কিন্তু এই প্রশ্ন তোলা হয়নি যে, মানুষের মনে এই ধ্যানধারণা আসে কোথা থেকে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের চালিকাশক্তিগুলি কী কী। … মার্কস প্রমাণ করে দিয়েছেন, বিগত সব ইতিহাস (আদিম সমাজ ব্যতীত) হল শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস। বহুবিধ ও জটিল সব রাজনৈতিক সংগ্রামের একমাত্র প্রশ্ন ছিল সামাজিক শ্রেণিগুলির সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা, পুরনো শ্রেণিগুলির ক্ষমতা বজায় রাখা ও উদীয়মান নতুন শ্রেণিগুলির ক্ষমতা লাভের প্রশ্ন। কিন্তু কিসের উপর এই শ্রেণিগুলির উৎপত্তি ও অস্তিত্ব টিকে থাকা নির্ভর করে? এগুলি নির্ভর করে নির্দিষ্ট বস্তুগত ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বাস্তব অবস্থার উপর যাকে ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে মানুষ প্রাণধারণের উপকরণগুলি উৎপাদন ও বিনিময় করে। … সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে ইতিহাসের এই নতুন ধারণা সবচেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এটা দেখাল, আগেকার সব ইতিহাস শ্রেণি-বিরোধ ও শ্রেণি-সংগ্রামের মাধ্যমে এগিয়েছে, চিরকালই শাসক ও শাসিত শ্রেণি, শোষক ও শোষিত শ্রেণি থেকেছে আর বরাবরই মানবসমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিপুল অংশ হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়েছে, উপভোগের সুযোগ তারা পেয়েছে সামান্যই। … শাসক বৃহৎ বুর্জোয়া শ্রেণি তার ইতিহাস-নির্ধারিত উদ্দেশ্য পূরণ করেছে, সমাজের নেতৃত্বের ক্ষমতা তার আর নেই, উৎপাদনের বিকাশের পথে সে বরং বাধাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। … ঐতিহাসিক নেতৃত্ব চলে এসেছে সর্বহারা শ্রেণির হাতে, সমাজে এ শ্রেণির সামগ্রিক অবস্থার দরুন এ শ্রেণি নিজেকে মুক্ত করতে পারে কেবল সব শ্রেণি-শাসন, সব দাসত্ব ও সব শোষণ পুরোপুরি শেষ করে দিয়ে। … মার্কসের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল পুঁজি ও শ্রমের সম্পর্কের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা, অর্থাৎ বর্তমান সমাজে, উৎপাদনের বর্তমান পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে পুঁজিবাদ কী ভাবে শ্রমিককে শোষণ করে তা দেখিয়ে দেওয়া। … আধুনিক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র এই দু’টি বিষয়ের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত”
মার্কসের মৃত্যুর পর এঙ্গেলসের ভূমিকা
এখন আমি মার্কসের মৃত্যুর পর এঙ্গেলসের বত্তৃতার কিছু অংশ পড়ে শোনাব – ‘‘১৪ মার্চ বেলা পৌনে তিনটেয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক চিন্তা থেকে বিরত হয়েছেন। … ডারউইন যেমন জৈব প্রকৃতির বিকাশের নিয়ম আবিষ্কার করেছিলেন তেমনি মার্কস আবিষ্কার করেছেন মানুষের ইতিহাসের বিকাশের নিয়ম। … কিন্তু শুধু এই নয়, বর্তমান পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির এবং এই পদ্ধতি যে বুর্জোয়া সমাজ সৃষ্টি করেছে, তার গতির বিশেষ নিয়মটিও মার্কস আবিষ্কার করেন। যে সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে এতদিন পর্যন্ত সব বুর্জোয়া অর্থনীতিবিদ ও সমাজতন্ত্রী সমালোচক উভয়েরই অনুসন্ধান অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছিল, তার ওপর সহসা আলোকপাত হল উদ্বৃত্ত মূল্য আবিষ্কারের ফলে। একজনের জীবদ্দশার পক্ষে এরকম দুটো আবিষ্কারই যথেষ্ট। এমনকি এরকম একটা আবিষ্কার করতে পারার সৌভাগ্য যাঁর হয়েছে তিনিও ধন্য। কিন্তু মার্কসের চর্চার প্রতিটি ক্ষেত্রে– তিনি চর্চা করেছিলেন বহু বিষয় নিয়ে এবং কোনওটাই ওপর ওপর নয়– তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই, এমনকি গণিতশাস্ত্রেও তিনি স্বাধীন আবিষ্কার করে গেছেন।
এই হল বিজ্ঞানী মানুষটির রূপ। কিন্তু এটা তাঁর ব্যক্তিত্বের অর্ধেকও নয়। মার্কসের কাছে বিজ্ঞান ছিল এক ঐতিহাসিকভাবে গতিশীল বিপ্লবী শক্তি। কোনও একটা তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের নতুন যে আবিষ্কার কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের কল্পনা করাও হয়ত তখনও পর্যন্ত অসম্ভব, তেমন আবিষ্কারকে মার্কস যত আনন্দেই স্বাগত জানান না কেন, তিনি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের আনন্দ পেতেন যখন কোনও আবিষ্কার শিল্পে এবং সাধারণভাবে ঐতিহাসিক বিকাশে একটা আশু বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত করছে। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যুৎশক্তির ক্ষেত্রে যেসব আবিষ্কার হয়েছে তার বিকাশ … তিনি খুব মন দিয়ে লক্ষ করতেন। কারণ মার্কস সবার আগে ছিলেন বিপ্লববাদী। তাঁর জীবনের আসল ব্রত ছিল পুঁজিবাদী সমাজকে এবং এই সমাজ যেসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সৃষ্টি করেছে, তার উচ্ছেদে কোনও না কোনও উপায়ে অংশ নেওয়া, আধুনিক সর্বহারা শ্রেণির মুক্তিসাধনের কাজে অংশ নেওয়া, যে শ্রেণিকে তিনিই প্রথম তার নিজের অবস্থা ও প্রয়োজন সম্বন্ধে, তার মুক্তির শর্তাবলী সম্বন্ধে সচেতন করে তুলেছিলেন। … যুগে যুগে অক্ষয় হয়ে থাকবে তাঁর নাম, অক্ষয় হয়ে থাকবে তাঁর কাজ।” মার্কসের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে এঙ্গেলসের মূল্যায়ন আমি সংক্ষেপে পড়ে শোনালাম।
১৮৮৫ সালে ‘অ্যান্টি-ড্যুরিং’-এর ভূমিকায় এঙ্গেলস কী ভাবে মার্কসের অবদানকে তুলে ধরেছেন তা লক্ষ করুন, যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রসঙ্গত এ কথা আমাকে বলতেই হবে যে এই বইটিতে ব্যাখ্যা-করা দৃষ্টিভঙ্গির পদ্ধতি মার্কসের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং অনেক বেশি পরিমাণে বিকশিত হয়েছিল আর আমার দ্বারা হয়েছিল খুবই নগণ্য মাত্রায়, তাই আমাদের মধ্যে একটা নিজস্ব বোঝাপড়া ছিল যে আমার এই ব্যাখ্যা তাঁর অজ্ঞাতে প্রকাশ করা হবে না। ছাপাবার আগে সমগ্র পাণ্ডুলিপিটি তাঁকে পড়ে শুনিয়েছিলাম এবং অর্থনীতির অংশটির দশম অধ্যায়টি মার্কস নিজে লেখেন।”
‘অ্যান্টি ড্যুরিং’ গ্রন্থে এঙ্গেলস বিজ্ঞান নিয়েও চর্চা করেছেন। এই বইয়ের একটি অংশ ‘সমাজতন্ত্রঃ কাল্পনিক ও বৈজ্ঞানিক’ নামে ১৮৮০ সালে আলাদাভাবে প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি কাল্পনিক সমাজতন্ত্রীদের বিরুদ্ধতা করে লিখেছেন। বাস্তবেই এঙ্গেলসের বিখ্যাত লেখাগুলির মধ্যে একটি হল অ্যান্টি-ড্যুরিং। কিন্তু লক্ষ করুন, এই বইটি লিখতে গিয়ে তিনি কী ভাবে মার্কসকে নেতৃত্বকারী ভূমিকায়় স্থান দিয়ে তুলে ধরেছেন।
ল্যুডভিগ ফুয়েরবাক ও চিরায়ত জার্মান দর্শনের অবসান গ্রন্থের ১৮৮৮ সালের সংস্করণে মার্কসের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে এঙ্গেলস লিখেছেন, ১৮৫৯ সালে বার্লিন থেকে প্রকাশিত অর্থশাস্ত্রের সমালোচনা প্রসঙ্গে নামক গ্রন্থের ভূমিকায় মার্কস বলেছেন কীভাবে ১৮৪৫ সালে ব্রাসেলসে ‘জার্মান দর্শনের ভাবগত মতামতের বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্যটি’ অর্থাৎ ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যা, যা প্রধানত মার্কসেরই রচনা, ‘আমরা যুক্তভাবে প্রস্তুত করব, বস্তুতপক্ষে, আমাদের এতদিনকার দার্শনিক বিবেকবুদ্ধির সঙ্গে হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে নেব’ বলে স্থির করেছিলাম। আমাদের এই সংকল্প কাজে পরিণত হল হেগেল-পরবর্তী দর্শনের সমালোচনা-রূপে।” কিন্তু এটা ছাপা হয়নি। এঙ্গেলস লিখেছেন, ‘‘তারপর চল্লিশ বছরের বেশি কেটে গিয়েছে, মার্কস মারা গিয়েছেন এবং আমাদের দু’জনের মধ্যে কেউই এ বিষয়ে প্রত্যাবর্তন করবার সুযোগ পাইনি। নানা প্রসঙ্গে আমরা হেগেলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছি। কিন্তু কোথাও সামগ্রিক ও ধারাবাহিকভাবে নয়। এবং ফুয়েরবাকের প্রসঙ্গে আমরা একবারও প্রত্যাবর্তন করিনি, যদিও সব সত্ত্বেও হেগেল-দর্শন ও আমাদের চিন্তাধারার মধ্যে নানা দিক থেকে তিনিই হলেন অন্তর্বর্তী যোগসূত্র।” এরপর এঙ্গেলস এই বইটি লেখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এঙ্গেলস এটাও বলেছেন, ‘‘লেখাটি তৈরির আগে, ভবিষ্যতে বিশদে রচনার জন্য তিনি যে নোটগুলি তাড়াহুড়োয় লিখে রেখেছিলেন, মোটেই প্রকাশের জন্য নয়, কিন্তু নতুন বিশ্বদৃষ্টির প্রতিভাদীপ্ত ভ্রূণসত্তার প্রথম দলিল হিসাবে এগুলি অমূল্য।”
আবার ‘পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি’ বইটির ভূমিকায় এঙ্গেলস লিখেছেন, ‘‘একদিক থেকে বলা যায় যে নিচের পরিচ্ছেদগুলিতে একটি উত্তরদায়িত্ব পূরণ করা হয়েছে। স্বয়ং কার্ল মার্কস পরিকল্পনা করেন যে, তিনি ইতিহাস নিয়ে তাঁর নিজের– সীমাবদ্ধভাবে বলা যায় যে আমাদের দু’জনের– বস্তুবাদী অনুসন্ধান থেকে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে মর্গানের গবেষণার ফলগুলিও উপস্থিত করবেন এবং শুধু এইভাবে তাদের সমগ্র তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলবেন। … আমার পরলোকগত বন্ধু যে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি, আমার রচনায় তার স্থান পূরণ নগণ্যই হবে। তবে মর্গান থেকে মার্কসের বিস্তৃত উদ্ধৃতিগুলির মধ্যে তাঁর সমালোচনামূলক মন্তব্যগুলি আমার হাতে আছে এবং যেখানেই সম্ভব সেখানে এগুলি আমি পুনরুদ্ধৃত করছি।” (চলবে)