২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনের মহান নেতা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ সমগ্র দেশের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ইংরেজিতে একটি আলোচনা করেন যা অনলাইনে সম্প্রচারিত হয়। ৫ আগস্ট মহান এঙ্গেলসের ১২৬তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে সেই ইংরেজি আলোচনাটির বঙ্গানুবাদ ধারাবাহিকভাবে আমরা প্রকাশ করছি। অনুবাদে কোনও ভুলত্রুটি থাকলে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের। এবার দ্বিতীয় পর্ব। – সম্পাদক, গণদাবী
শেষ পর্যন্ত তাঁকে ইংল্যাণ্ডের ম্যাঞ্চেস্টারে পাঠানো হয়। সেখানে একটা শিল্প-কারখানায় তাঁর পিতার অংশীদারি ছিল। পিতার সাথে তাঁর গুরুতর মতপার্থক্য ছিল। তাঁর পিতা ছিলেন ধর্মীয় মানসিকতার এবং এঙ্গেলস ছিলেন ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এঙ্গেলস খুবই দুঃখের সঙ্গে মার্কসকে লিখেছিলেন, ‘‘আমার মা, যাঁকে আমি খুব ভালবাসি, না থাকলে চলে আসার ক’দিন আগে পর্যন্ত আমি সেই পরিবেশ সহ্য করতে পারতাম না। আপনি ধারণা করতে পারবেন না … । এটা বিশেষভাবে ঘৃণ্য যে, শুধুমাত্র বুর্জোয়া হিসাবে নয়, কারখানার মালিক হিসাবে থাকা, অর্থাৎ এমন এক বুর্জোয়া যে সর্বহারার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবস্থান করে।”
মার্কসকে তিনি আরও লিখলেন, ‘‘আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিই এই দিয়ে যে, শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা সম্পর্কে আমার বই লেখার কাজে যুক্ত আছি” (মার্কস এঙ্গেলসের চিঠিপত্র)।
১৮৪৫ সালে লিখিত ‘ইংল্যান্ডে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা’ নামক সেই বইয়ে তিনি বললেন, ‘‘এই শ্রমিকদের নিজের সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই, বেঁচে আছে পুরোপুরি নিজেদের মজুরির উপর নির্ভর করে, যা দিয়ে কোনও মতে পেট চলে…। প্রত্যেক শ্রমজীবী মানুষ, এমনকি সবচেয়ে দক্ষ শ্রমিকও সব সময় কাজ হারানো ও অনাহারে থাকার আশঙ্কায় থাকে।… যেটা হল না খেতে পেয়ে মৃত্যু…। তাদের বসবাসের ঘরগুলো এত জঘন্যভাবে পরিকল্পিত, এত খারাপভাবে তৈরি, … আলো-বাতাস ঢোকে না, … স্যাঁতস্যাঁতে … প্রত্যেক ঘরে কমপক্ষে একটা পুরো পরিবারকে ঘুমোতে হয় যতটা সম্ভব কম জায়গা নিয়ে…। সহজ কথায় বুর্জোয়া শ্রেণি বেঁচে থাকার সমস্ত উপাদানের উপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করেছে। সুতরাং সর্বহারারা আইনত ও বাস্তবতও বুর্জোয়া শ্রেণির দাস, যে শ্রেণি তাদের জীবন-মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করতে পারে… খামারের চাষিরা দিনমজুরে পরিণত হয়েছে, … খামারের মালিকদের যখন প্রয়োজন, তখন তারা কাজ পায় এবং সেইজন্য কখনও কখনও সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে তাদের কোনও কাজ থাকে না, বিশেষ করে শীতকালে… তাদের খাদ্য খুবই অপর্যাপ্ত এবং নিম্নমানের… ছেঁড়াখোড়া পোশাক, থাকার জায়গাও ঝুপড়ির মতো, আর জরাজীর্ণ…। তার ওপর তারা মজুরি বৃদ্ধির জন্য সংঘবদ্ধ হতে পারে না…। এই মজুররা সেই জন্য এই বর্বর অবস্থা থেকে অব্যাহতি পেতে, একটু ভাল, মানবিক অবস্থা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালাবেই, এবং এই চেষ্টা তারা করতে পারে না, যারা তাদের শোষণ করে সেই বুর্জোয়াদের স্বার্থের উপর আঘাত না করে… । কিন্তু বুর্জোয়ারা নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখে তাদের অধিকারে থাকা সম্পদের শক্তি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাহায্যে… আইন-কানুন… যা প্রণীত হয়েছে তাদেরই কল্যাণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে…। শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক আন্দোলন অনিবার্যভাবেই শ্রমিকদের এই উপলব্ধির দিকে ঠেলে দেবে যে সমাজতন্ত্রেই তাদের সর্বাঙ্গীন মুক্তি নিহিত।” (ইংল্যাণ্ডে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা)।
একটা ব্যাপার লক্ষ করুন, শ্রমিক ও কৃষকদের জীবনযাপনের এই বিবরণ আমাদের দেশের মতোই এবং সারা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিও এই রকমই।
মার্কস এই বইখানা পড়ে মূল্যায়নে বললেন, ‘‘তিনি উৎপাদনের উদ্দেশ্যর প্রকৃত চরিত্র সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।”
বইটির প্রশংসা করে লেনিন লিখেছিলেন, ‘‘এঙ্গেলসের আগেও অনেকেই সর্বহারার দুঃখ-দুর্দশার বিবরণ দিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন তাদের সাহায্য করা কত প্রয়োজন। এঙ্গেলসই সর্বপ্রথম বললেন যে, সর্বহারা শ্রেণি শুধুমাত্র একটা নিপীড়িত শ্রেণিই নয়, বস্তুতপক্ষে মর্যাদাহানিকর অর্থনৈতিক অবস্থাই শ্রমিকদের অপ্রতিরোধ্যভাবে সামনের দিকে পরিচালিত করবে এবং বাধ্য করবে চূড়ান্তভাবে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে…। শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক সংগ্রাম অনিবার্যভাবে শ্রমিকদের এই উপলব্ধিতে পৌঁছতে পরিচালিত করবে যে তাদের মুক্তি একমাত্র সমাজতন্ত্রেই নিহিত। এই বইটি পুঁজিবাদের এবং বুর্জোয়া শ্রেণির বিরুদ্ধে এক মারাত্মক অভিযোগ দায়ের করে এবং গভীর প্রভাব ফেলে। আধুনিক সর্বহারা শ্রেণির প্রকৃত অবস্থার সবচেয়ে ভাল চিত্র তুলে ধরায় এঙ্গেলসের এই বই সর্বত্রই উদ্ধৃত হতে থাকে। এবং এটা ঘটনা যে, ১৮৪৫ সালের আগে বা পরে শ্রমিক শ্রেণির এমন শোচনীয় দুর্দশার বিবরণ আর কোনও বইয়ে প্রকাশিত হয়নি।” (১৮৯৫ সালে এঙ্গেলসের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই লিখিত)।
যৌথ পথ চলার সূচনা
এঙ্গেলস মার্কসকে প্রথম দেখেছিলেন ১৮৪২ সালে কোলনে রাইনৎসে জাইটুং পত্রিকার অফিসে। কিন্তু সেখানে তাদের মধ্যে আলোচনা করার সুযোগ হয়নি।
১৮৪৪ সালে মার্কস ও আর্নল্ড রুগে-র যুগ্মভাবে সম্পাদিত জার্নাল জার্মান-ফ্রান্স ইয়ারবুক-এ প্রকাশিত এঙ্গেলসের লেখা ‘রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্রের সমালোচনার রূপরেখা’ প্রবন্ধের মাধ্যমে মার্কস সর্বপ্রথম এঙ্গেলসের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারেন। ১৮৪৪ সালে এঙ্গেলস যখন ইংল্যান্ড থেকে প্যারিসে গেলেন, তিনি মার্কসের সাথে দেখা করলেন। এখানে নিজেদের পরস্পরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিস্তারিতভাবে মত বিনিময় সম্পর্কে এঙ্গেলস লিখেছিলেন, ‘‘সমস্ত তত্ত্বগত ক্ষেত্রে আমাদের সম্পূর্ণ ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হল এবং আমাদের যৌথ কর্মকাণ্ড শুরু হল ঠিক তখন থেকেই।” এই সাক্ষাৎকার ছিল একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ তখন পর্যন্ত যা সম্পূর্ণ অলীক কল্পনা বলেই মনে করা হত– মানবসভ্যতায় নিপীড়িত শ্রেণির মুক্তি ও শ্রেণিশোষণের চিরতরে অবসান ঘটানো– তার পথনির্দেশ ঘোষণা করার জন্য দুই মহান মানুষের এক ঐতিহাসিক যৌথ সংগ্রামের সূচনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল।
কীভাবে দুই মহান মানুষের আদর্শগত ঐক্য বিকশিত হল
মার্কস ১৮৫৯ সালে তাঁর ‘রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্রের সমালোচনায় একটি অবদান’ নামক একটি নিবন্ধের ভূমিকা লিখেছিলেন। সেই নিবন্ধের ভূমিকায় মার্কস লিখলেন,
‘‘অর্থনৈতিক বিভাগের (ইকনমিক ক্যাটেগরিজ) সমালোচনা প্রসঙ্গে এঙ্গেলসের চমৎকার নিবন্ধটি প্রকাশের পর থেকে নিয়মিত পত্রালাপের মাধ্যমে আমি তাঁর সঙ্গে ভাব-বিনিময় রক্ষা করেছি, তিনি অন্য পথ দিয়ে আমার মতো একই ফলাফলে উপনীত হয়েছিলেন (লক্ষ করুন– ‘অন্য পথ দিয়ে আমার মতো একই ফলাফলে উপনীত হয়েছিলেন’)। এরপর ১৮৪৫ সালের বসন্তকালে যখন তিনি ব্রাসেলসে এসে বসবাস করতে লাগলেন, তখন আমরা স্থির করলাম যে জার্মান দর্শনের ভাবগত মতামতের বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্যটি আমরা যুক্তভাবে প্রস্তুত করব, বস্তুতপক্ষে, আমাদের এতদিনকার দার্শনিক বিচারবুদ্ধির সঙ্গে হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে নেব।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ১৮৮৮ সালে এঙ্গেলসও ‘কমিউনিস্ট লিগের ইতিহাস’-এ লিখলেনঃ
‘‘আমি যখন ম্যাঞ্চেস্টারে ছিলাম তখন আমাকে ঠেকে শিখতে হয় যে, এতদিন পর্যন্ত যদিও ইতিহাস রচনায় অর্থনৈতিক তথ্যাবলি কোনও স্থানই পায়নি বা নিতান্ত তুচ্ছ স্থান পেয়েছে, তবু, অন্তত আধুনিক জগতে তা এক নির্ধারক ঐতিহাসিক শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অর্থনৈতিক তথ্যাবলিই হল আজকের দিনের শ্রেণিবিরোধ উদ্ভবের ভিত্তি। … এইসব শ্রেণিবিরোধ … আবার রাজনৈতিক পার্টি গঠনের ও পার্টি সংঘাতের, আর তার ফলে সব রাজনৈতিক ইতিহাসেরও ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কসও এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছেছিলেন শুধু তাই নয়, … তিনি এই মর্মে সাধারণীকরণ হাজির করেন যে, সাধারণভাবে বলতে গেলে রাষ্ট্র নাগরিক সমাজকে (বুর্জোয়া সমাজকে) নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে না বরং সমাজই রাষ্ট্রকে নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেই কারণেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও তার বিকাশ থেকেই রাজনীতি ও তার ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করতে হবে, বিপরীতভাবে নয়। ১৮৪৪ সালের গ্রীষ্মকালে যখন আমি প্যারিসে মার্কসের সঙ্গে দেখা করি তখন তত্ত্বগত সমস্ত ক্ষেত্রেই আমাদের পূর্ণ মতৈক্য পরিষ্কার হয়ে উঠল, আর তখন থেকেই শুরু হয় আমাদের মিলিত কাজ। ১৮৪৫ সালের বসন্তকালে ব্রাসেলসে আবার যখন আমাদের দেখা হয় তার মধ্যেই মার্কস উপরিউক্ত ভিত্তি থেকে তাঁর ইতিহাসের বস্তুবাদী তত্ত্বকে, তার প্রধান দিকগুলিকে বিকশিত করে তুলেছেন এবং আমরা এই নব-অর্জিত দৃষ্টিভঙ্গিকে সমস্ত দিকে বিশদে রচিত করে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করলাম।
এই যে আবিষ্কারটি ইতিহাস-বিজ্ঞানে বিপ্লব এনেছিল, সেটা আমরা দেখেছি প্রধানত মার্কসেরই কীর্তি– যে আবিষ্কারে আমি খুবই নগণ্য অংশ দাবি করতে পারি– তা কিন্তু সমকালীন শ্রমিক আন্দোলনে ছিল প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
এঙ্গেলস যখন প্যারিসে পৌঁছালেন, মার্কস ইতিমধ্যেই সেখানে পবিত্র পরিবার (দ্য হোলি ফ্যামিলি) নামক একটা বিতর্কমূলক রচনা প্রস্তুত করছিলেন। এই রচনায় এঙ্গেলসের তেমন কিছু অবদান না থাকলেও মার্কসের জোরালো পরামর্শেই ১৮৪৫ সালে তাঁদের যুগ্মরচনা হিসাবে লেখাটা প্রকাশিত হল। পরে আবার ১৮৪৬ সালে তাঁরা যৌথভাবে লিখলেন জার্মান ইডিওলজি, যেখানে তাঁরা ভাববাদী এবং কাল্পনিক ধ্যানধারণাগুলির বিরুদ্ধতা করে সমাজতন্ত্রের বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করলেন।
লেনিনের মতে মার্কস ও এঙ্গেলস
দু‘জনই আধুনিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
এবার আমি মার্কস-এঙ্গেলস সম্পর্কে লেনিনের রচনা পড়ে শোনাব, কারণ এটাই হবে বেশি স্পষ্ট এবং খুবই শিক্ষণীয়– যা আমি নিজের ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। লেনিন লিখেছেন,
‘‘বাস্তবে মার্কস এবং এঙ্গেলসের দুনিয়াজোড়া মহান অবদান হল, তাঁরা পুঁজিবাদের ধবংসের অনিবার্যতা এবং তার সাম্যবাদে উত্তরণকে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের সাহায্যে প্রমাণ করেছিলেন– যেখানে মানুষের দ্বারা মানুষের ওপর শোষণ থাকবে না।”
‘‘বিশ্বব্যাপী মার্কস এবং এঙ্গেলসের মহান ঐতিহাসিক অবদান নিহিত আছে এইখানে যে তাঁরা প্রকৃতপক্ষে সব দেশের সর্বহারা শ্রেণির ভূমিকা, তাদের কর্তব্য, তাদের আহ্বান জানাতে, পুঁজির বিরুদ্ধে বিপ্লবী সংগ্রামে সর্বাগ্রে দাঁড়াতে এবং সমস্ত মেহনতি ও শোষিত জনগণকে তাদের চারপাশে সংঘবদ্ধ করতে পথ নির্ধারণ করেছিলেন।” (১৯১৮ সালের ৭ নভেম্বর মার্কস-এঙ্গেলসের মূর্তি উন্মোচনকালে লেনিনের বক্তৃতা)।
‘‘তাঁদের বিজ্ঞানসম্মত রচনাবলিতে মার্কস ও এঙ্গেলস সর্বপ্রথম বিশ্লেষণ করে দেখালেন যে সমাজতন্ত্র কোনও স্বপ্নদর্শীর খেয়ালি পছন্দ নয়, বরং আধুনিক সমাজে উৎপাদিকা শক্তির বিকাশের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও অপরিহার্য ফল…। আধুনিক সমাজতন্ত্রের উদগাতা হিসাবে সঠিকভাবেই মার্কস ও এঙ্গেলসের নাম পাশাপাশি স্থাপিত হয়েছে।” (ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসঃ ১৮৯৫ সালে এঙ্গেলসের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে লিখিত)।
এঙ্গেলসের ‘ল্যুডভিগ ফুয়েরবাক ও জার্মান চিরায়ত দর্শনের অবসান’ এবং ‘অ্যান্টি-ড্যুরিং’– যা প্রতিটি শ্রেণি সচেতন শ্রমিকের কাছে কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো-র মতোই সঙ্গে রাখা আবশ্যিক পাঠ্যের মতো রচনা, যেগুলি আয়ত্ত করতে না পারলে মার্কসবাদকে সম্যকভাবে বোঝা ও তুলে ধরা সম্ভব নয়। এখানে আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, লেনিন স্পষ্টভাবে মার্কস-এঙ্গেলস উভয়কেই ‘‘আধুনিক সমাজতন্ত্রবাদের প্রতিষ্ঠাতা” বলে উল্লেখ করেছেন। (চলবে)