‘‘আমরা এই যে কথাটা বলি, ‘আমরা ইন্ডিভিজুয়ালি এবং কালেক্টিভলি কাজ করব’, এর মানে হল– যেভাবে বললাম, সেই ভাবে কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে অগ্রসর হওয়া। অর্থাৎ প্রত্যেকে যখন তার দায়িত্বের ওপর, রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে আলোচনাকে একটা সামগ্রিক সিদ্ধান্তে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে, তখন তা হল কালেক্টিভ। তারপর যখন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যার যার দায়িত্ব নিয়ে ফিরে যাই এবং নিজে সেই দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্রাণ একক চেষ্টা করি তখন তা হল ইন্ডিভিজুয়াল। তা হলে কালেক্টিভ এবং ইন্ডিভিজুয়াল– এই দুটো পদ্ধতিকে মিলিয়ে আমাদের সংগ্রামকে পরিচালনা করতে হয়। এর কোনওটাকে নেগলেক্ট করলে চলবে না। আমি যদি আপন মনে কাজ করে যাই– বডিতে বসে ঠিক মতো ফাংশান না করি, ঠিক মতো রিপোর্ট না করি, রিপোর্ট করার পদ্ধতি ঠিক মতো না মানি, আলোচনা যাতে প্রিসাইজ (সুসংবদ্ধ) হয়, ফলপ্রসু হয় ও সিদ্ধান্তগুলি কার্যকরী হয় সেদিকে লক্ষ না রাখি, শুধু এন্ডলেস ডিসকাশন করি, শুধু নিজেকে ডিফেন্ড করে যাই, একটা পয়েন্ট থেকে আর একটা পয়েন্টে শিফট করি এবং এই ভাবে যদি আমি কমিটির আলোচনাকে একটা অকার্যকরী উদ্দেশ্যহীন ডিসকাশনে পর্যবসিত করি, তাহলে আমি কালেক্টিভ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বা কালেক্টিভের মধ্যে কোনও রোল প্লে করলাম না। ফলে এই সব বিষয়গুলি খেয়ালে রেখে প্রতিটি কমরেডের উপযুক্ত ভূমিকার ভিত্তিতে আমাদের বডি মিটিংগুলো পরিচালনা করতে হবে। জেনারেল বডি মিটিংগুলোও এই ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে।”
— সোস্যাল ডেমোক্রেসিকে পরাস্ত করেই বিপ্লবী দলকে এগোতে হয়, শিবদাস ঘোষ নির্বাচিত রচনাবলি, পঞ্চম খণ্ড