নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে শেষ হল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ তৃণমূল নেতারা এবার প্রথম থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন বিরোধীদের জিততে দেবেন না৷ পুলিশ–প্রশাসনকে পুরোপুরি কব্জায় নিয়ে, বিডিও–এসডিও–পুলিশ অফিসারদের নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন কীভাবে বিরোধীদের নির্বাচন থেকে একদম ছেঁটে ফেলা যায়৷ প্রথমেই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যাতে বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্রই জমা দিতে না পারে৷ অর্থাৎ ভোটের ময়দানে বিরোধীরা দাঁড়াতেই না পারে৷ তার জন্য সশস্ত্র তৃণমূল গুন্ডাবাহিনীকে দিয়ে বিডিও অফিস অবরোধ করে ফেলা, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা, যাঁরা জমা দিয়েছেন তাঁদের ভয় দেখিয়ে, মেরে তুলে নিতে বাধ্য করা, এলাকায় প্রবল সন্ত্রাস তৈরি করে মানুষকে তটস্থ করে রাখা, বাড়িতে থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া, জরিমানা করা, বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়া, মহিলা প্রার্থীদের শ্লীলতাহানি করা, একেকটি আসনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ছড়ানো, ভোটের দিন বুথের দখল নিয়ে অবাধে ছাপ্পা দেওয়া, ভোটকর্মীদের মারধর, এমনকী খুন করে ফেলা– সন্ত্রাস এবং রিগিংয়ের যতরকম পদ্ধতি আছে তার কোনও কিছুই বাদ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজ্যের মানুষ অনেক নির্বাচন দেখেছে, কিন্তু গণনা কেন্দ্রে দলবদ্ধভাবে ঢুকে বিরোধীদের ব্যালটে অতিরিক্ত ছাপ্পা দিয়ে নষ্ট করে শাসক দলের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা দেখেনি৷ গণনায় জিতেছে অন্যজন, জয়ীর সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোচ্ছে শাসক দলের প্রার্থী৷ এমন অজস্র ঘটনা রাজ্য জুড়ে ঘটেছে৷ কোথায় প্রশাসন, কোথায় নির্বাচন কমিশন? মানুষ কার কাছে প্রতিকারের দাবি করবে? ভোটের আগেই ৩৪ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ হাজার আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে গেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি হিংসা চান না, শান্তি চান৷ অথচ এবার ভোটপর্বে ৪০ জন মানুষের প্রাণ চলে গেল৷ কারা এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী তার জবাব দেননি৷ এই নির্বাচনে জনগণ কোথায়, কোথায় তাদের স্বাধীন মতামতের অধিকার? কমিশনকে শিখণ্ডী খাড়া করে শাসক দল নির্বাচনকে পুরোপুরি প্রহসনে পরিণত করল৷
সিপিএমের অবাম ও অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে, বিশেষত সিঙ্গুর–নন্দীগ্রামের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পটভূমিতে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়ে ২০১১ সালে সরকারে বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালে নির্বাচনেও জনসমর্থন পেয়েছে তারা৷ তারপর মাত্র দু’বছরেই তৃণমূল নেতৃত্বকে এই নজিরবিহীন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হল কেন? মুখ্যমন্ত্রী তো বারেবারেই বলেন, তাঁরা রাজ্যের নজিরবিহীন উন্নয়ন ঘটিয়েছেন৷ তাই রাজ্যের জনগণ তাঁদের সাথেই রয়েছেন৷ তা হলে এই সন্ত্রাসের প্রয়োজন হল কেন? কেন তাঁরা মানুষের উপর আস্থা রাখতে পারলেন না?
এই ব্যাপক সন্ত্রাসের পিছনে বিজেপিকে মোকাবিলার তত্ত্বও একটা ডাহা বাজে কথা৷ বিজেপি তার বিভাজনের রাজনীতির দ্বারা কোথাও কোথাও কিছু শক্তি সঞ্চয় করতে পারলেও তা যে শাসক দলের ভয় পাওয়ার মতো কিছু নয় তা ফলেই প্রকাশ পেয়েছে৷ বিরোধী দলগুলির কারও এই মুহূর্তে তৃণমূলকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করার জন্য যে সাংগঠনিক শক্তির দরকার তা নেই৷ তা হলে এই সন্ত্রাসের কারণ কী?
আসলে এই সন্ত্রাসের কারণটি রয়েছে তৃণমূলের ভিতরেই৷ সিপিএমই পঞ্চায়েতকে করে খাওয়ার, অবাধ লুঠপাটের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে দিয়েছিল৷ সিপিএম নেতারা সেদিন বলতেন, এস ইউ সি আই (সি)–র সঙ্গে যাচ্ছিস, ওরা কি তোকে চাকরি দিতে পারবে, সুযোগ–সুবিধা দিতে পারবে? অর্থাৎ নীতি নয়, আদর্শ নয়, যে দলে গেলে করে খাওয়া যাবে, আগের গোছানো যাবে সেই দল কর৷ ফলে যখনই সিপিএম ক্ষমতা হারাল দলে দলে সুযোগ সন্ধানীরা একই ধান্ধায় তৃণমূলে গিয়ে ভিড়ল৷ বহু জেলায় দলে তারাই সংখ্যগরিষ্ঠ হয়ে পড়ল৷পঞ্চায়েত মানেই কোটি কোটি টাকার কারবার৷ এই লুটপাঠের দখলদারি নিতেই এবার পঞ্চায়েতের এক–একটি আসনে একাধিক, কোথাও সাত–আটজন পর্যন্ত প্রার্থী সকলেই নিজেকে তৃণমূল পরিচয় দিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল৷ নীতিহীন–আদর্শহীন এই নেতা–কর্মীরা কেউই এই লুটের দখলদারি হাতছাড়া করতে চায় না৷ তৃণমূল নেতৃত্বের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, একজনকে দলের প্রতীক দিলেই বাকিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে যাবে৷ দলে এমন নিয়ন্ত্রণ নেই যে বাকিরা নির্দ্বিধায় দলের নির্দেশ মেনে নেবে৷ ফলে তৃণমূল নেতারা সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা ভোটই করতে দেবেন না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনবেন দলের প্রার্থীকে৷ সে কাজ করতে নজিরবিহীন সন্ত্রাস ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও রাস্তাই খোলা থাকল না৷
এবার শতকরা ৩৪ ভাগ আসনে ভোটই করতে দেয়নি তৃণমূল৷ যেগুলিতে ভোট হয়েছে সেখানেও হয়েছে ভোটের নামে প্রহসন৷ মানুষকে যা ভাবাচ্ছে, সিপিএম–তৃণমূলে ফারাকটা তা হলে কোথায়? সিপিএমও নির্বাচনটাকে প্রহসনে পরিণত করেছিল৷ নির্বাচনী কারচুপিকে ‘শিল্পের’ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল৷ ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ জেতার রেওয়াজ সিপিএমই শুরু করেছিল৷ যদিও সংগঠিত দল হওয়ায় সিপিএমের সন্ত্রাস–রিগিংয়ের কৌশলটা ছিল অনেক চাপা, যা শেষের দিকে প্রকাশ্যে এসে যায় এবং নির্মম রূপ নেয়৷ তৃণমূলের সন্ত্রাস প্রকাশ্য, কোনও রাখঢাক বিহীন৷ সিপিএমও পুলিশ–প্রশাসনকে এমন নির্লজ্জভাবেই কাজে লাগাত৷ তৃণমূল নেতারা শুরু করলেন সেখান থেকে সিপিএম যেখানে শেষ করেছিল৷ ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে’ বলে তৃণমূল নেতারা যেভাবে যুব সমাজের একটা অংশকে লাঠি বাঁশ রড বোমা পিস্তল দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিলেন, লুম্পেন হিসাবে, ঠ্যাঙাড়ে, খুনে বাহিনী হিসাবে হাতেখড়ি করিয়ে দিলেন, বেকার যুবকদের চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধার লোভ দেখিয়ে ছাপ্পা দেওয়ার মতো সমাজবিরোধী কাজে লাগালেন তা এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরছে৷ জনপ্রিয়, সম্মানীয় ব্যক্তিদের প্রার্থী করার পরিবর্তে তৃণমূল এবার বহু আসনে দাপুটে, দুষ্কৃতী বাহিনীর পান্ডা, এমনকী কুখ্যাত সমাজবিরোধীদেরও প্রার্থী করেছে যাতে সমাজের কোনও স্তর থেকে এই লুম্পেন রাজনীতির বিরুদ্ধে কেউ টুঁ শব্দ করতে না পারে৷ এই ভাবে মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে তারা দু–পায়ে মাড়িয়েছে৷ কিন্তু তৃণমূল নেতারা কি মনে করেন এই ভাবেই তাঁরা ক্ষমতার দখল রাখবেন? এক সময় সিপিএম নেতারাও এমনই মনে করতেন৷
একটা বিষয় মানুষকে ভাবাচ্ছে, যে সিপিএমের লক্ষ লক্ষ সদস্য আছে বলে এক সময় নেতারা গর্ব করতেন, গণসংগঠনগুলির লক্ষ লক্ষ সদস্যের কথা ঘোষণা করতেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত করতেন তাঁরা তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজ্যের কোথাও ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না কেন? তা হলে যতক্ষণ পিছনে সরকার আছে, পুলিশ–প্রশাসন আছে, মস্তান বাহিনী আছে ততক্ষণই তাঁরা বামপন্থী? এই কর্মীদের নিয়েই কি তাঁরা ফ্যাসিস্ট বিজেপির মোকাবিলা করবেন? দলের মধ্যে সৎ, যথার্থ বামপন্থী কর্মীদের এগুলি গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে৷ শুধু তাই নয়, দলের কর্মীরা তো বটেই, নেতারা পর্যন্ত বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন৷ নির্বাচনে কোথাও তৃণমূলের সঙ্গে, কোথাও বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে তুলেছেন৷ এ কথা তো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে যে সংগ্রামী বামপন্থী দল এস ইউ সি আই (সি)–র বিরুদ্ধেও তারা এ ভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির সাথে আঁতাত গড়ে তুলেছেন৷ ফলে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির পিছনে সিপিএমের ভূমিকা কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷
তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের রাজনীতিও রাজ্যের মানুষ নীরবে মেনে নেবে না৷ উল্লেখ করা দরকার, তৃণমূলের এই ব্যাপক সন্ত্রাসের মধ্যেও বহু জায়গায় জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, ছাপ্পা ভোট আটকেছেন৷ জনগণের কমিটি তৈরি করে তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাসকে রুখে দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন৷ অভিনন্দন সেই সব সংগ্রামী মানুষদের এবং এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) কর্মীদের যাঁরা মার খেয়ে, বোমা বন্দুক গুলির মুখে দাঁড়িয়ে এই মারাত্মক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, জয়ী কিংবা পরাস্ত হয়েছেন৷ জনস্বার্থকে সামনে রেখে এই সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টাই সন্ত্রাসকে প্রতিহত করার একমাত্র পথ৷
এ রাজ্যে যাঁরা তৃণমূল কিংবা সিপিএম সম্পর্কে ক্ষোভ থেকে বিজেপির দিকে যাচ্ছেন, তাদের বুঝতে হবে, বিজেপি অন্য বুর্জোয়া–পেটিবুর্জোয়া দলগুলির থেকে আলাদা কিছু নয়৷ সিপিএম যতদিন গণআন্দোলনে ছিল ততদিন কিছুটা হলেও সে জনস্বার্থ নিয়ে চলেছে৷ ক্ষমতায় বসতেই জনবিরোধী চরিত্র প্রকাশ্যে এসেছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসও সামান্য অর্থে হলেও যতদিন গণআন্দোলনে ছিল ততদিন তার মধ্যে খানিকটা হলেও জনস্বার্থ, নীতিনৈতিকতা কাজ করেছে৷ ক্ষমতায় বসামাত্র তারও জনবিরোধী চরিত্র প্রকাশ হয়ে পড়েছে৷ ঠিক তেমনই বিজেপি যতদিন ক্ষমতায় আসেনি, ততদিন সে ‘অন্য ধরনের পার্টি’ বলে নিজের একটা ভাবমূর্তি প্রচার করেছিল৷ যে মুহূর্তে ক্ষমতায় বসেছে, সে মুহূর্তে অন্য শাসক বুর্জোয়া পেটিবুর্জোয়া দলগুলির মতো তারও মুখোশ খসে গিয়ে স্বরূপটা বেরিয়ে পড়েছে৷ মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, ছাঁটাই, মহিলাদের উপর নির্যাতন, খুন–ধর্ষণ, নেতা–মন্ত্রীদের দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, হানাহানি, দলিতদের উপর আক্রমণ, গণআন্দোলন দমন করা, কৃষক আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মারাত্মক আকার নিয়েছে৷ গদির লোভ এই দলটিকে কোথায় নামাতে পারে কর্ণাটকে সরকার গড়া নিয়ে তাদের এমএলএ কেনাবেচার চেষ্টা তা দেখিয়ে দিল৷ এ রাজ্যে বিজেপি সভাপতির যে দাম্ভিক রূপ, কুৎসিত ভাষা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে, তা যেমন কোনও ভাবেই এ রাজ্যের মানুষের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে মেলে না, তেমনই বিজেপির রাজনীতির স্বরূপটিকেও তা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে৷ তৃণমূলের পাল্টা যে সন্ত্রাস তারা এখনই তাদের ক্ষুদ্র সংগঠিত জায়গাগুলিতে নামিয়ে আনছে, জায়গায় জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, তার বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীকে সতর্ক হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে৷
নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের এই হত্যা দেখে যাঁরা উদ্বিগ্ণ তাঁদের এটা বুঝতে হবে, পুঁজিবাদ আজ পচে গিয়ে ফ্যাসিস্ট রূপ নিয়েছে৷ তার পক্ষে আজ আর গণতন্ত্র দেওয়া সম্ভব নয়৷ কোনও নির্বাচনই আজ আর অবাধ হবে না৷ যত দিন যাবে ততই তা আরও নিকৃষ্ট রূপ ধারণ করবে৷ শাসক পুঁজিপতি শ্রেণি তাদের তাঁবেদার যে দলকে ক্ষমতায় বসাতে চাইবে তার হয়ে পুলিশ–প্রশাসন–নির্বাচন কমিশন–সংবাদমাধ্যম-কর্পোরেট পুঁজি কাজ করবে৷ তৃণমূল বিজেপি সিপিএম কংগ্রেসের কোনও একটির বদলে আর একটিকে সমর্থন করার দ্বারা এই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না৷ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে কিছুটা অর্থে হলেও রক্ষা করতে জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি, যা দিনে দিনে আরও মারাত্মক আকার নিচ্ছে, সেগুলি নিয়ে ব্যাপক বাম–গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, সেই আন্দোলনে ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে শোষিত, সন্ত্রস্ত মানুষকে সামিল করতে হবে৷ এর মধ্য দিয়েই বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে, তৃণমূলের সন্ত্রাসকে আটকানো যাবে৷ একটি সত্যিকারের বামপন্থী দল হিসাবে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে এই আন্দোলন গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছে৷ প্রয়োজন সকলকে এগিয়ে এসে গণআন্দোলনের এই ধারাটিকে শক্তিশালী করা৷
(৭০ বর্ষ ৪০ সংখ্যা ২৫ মে, ২০১৮)