এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দলের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী ও নেতৃত্ব নির্বাচনী সভাগুলিতে যেভাবে ব্যক্তিগত কেচ্ছা বা কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়েছেন, তা রাজনীতির অধঃপতনকেই সূচিত করে।
স্বাধীনতার পর এ রাজ্যে বহুবার নির্বাচন হয়েছে। বোধ হয় এ ধরনের কালচার ইতিপূর্বে রাজ্যবাসী কোনও নির্বাচনে লক্ষ করেনি। বিদ্যাসাগর-নেতাজি-ক্ষুদিরাম সহ বহু বরেণ্য মানুষের কর্মস্থল যে রাজ্যে, সে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের এ ধরনের সংস্কৃতি বেমানান। এই ঘটনা দেখায় যে, মতবাদিক বিষয়ে তর্কে-বিতর্কে তাদের আগ্রহ নেই।
নির্বাচকরা চায়, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য জনসাধারণের কাছে তুলে ধরুক। সেই বক্তব্য বিচার করেই জনসাধারণ তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীকে বেছে নেবে।
লক্ষণীয় বিষয়, নির্বাচন কমিশনও এ বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না। নির্বাচকরা চায়–অবিলম্বে এই ব্যক্তিগত কুৎসার রাজনীতি বন্ধ হোক।
নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, পূর্ব মেদিনীপুর