ভোটের হিসাবে গরমিল গভীর উদ্বেগের এস ইউ সি আই (সি)

এস ইউ সি আই(সি)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২৪ মে এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৫২ থেকে চলে আসা নির্বাচনী নিয়ম-কানুনকে সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন প্রথম পাঁচ দফা ভোটদানের পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেয়নি। এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়। এমনকি বহু দল ও অন্যান্য মহল এই হিসাব প্রকাশের দাবি করা সত্তে্বও তারা ভোট পড়ার সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করার বদলে তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে ভিত্তিহীন যুক্তি দিচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের ইস্যু করা ১৭-সি ফর্মে বুথভিত্তিক ভোট পড়ার তথ্য নির্বাচন কমিশনের হেফাজতেই আছে। এই তথ্য প্রকাশ করার কাজে তাদের বাধা কোথায়?

সংশোধিত আকারে ভোট পড়ার যে চূড়ান্ত হিসাব নির্বাচন কমিশন শতাংশে প্রকাশ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ প্রাথমিক তথ্যের থেকে এই হার অস্বাভাবিকভাবে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি পর্যায়েই ভোটের দিনে অনেক রাত পর্যন্ত ভোট পড়ার পর নির্বাচন কমিশন ভোটদানের হার বিশ্লেষণ করে ভোট পড়ার সংখ্যা জানিয়েছিল। প্রতিটি ভোটেই অনেক রাত পর্যন্ত ভোট পড়ে, এটা নতুন কিছু নয়। কিছু প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রথম চারটি দফাতেই এই ভোটের পার্থক্য ১.০৭ কোটি। অর্থাৎ যে ৩৭৯টি কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ভোট হয়েছে তার প্রতিটিতে গড়ে ২৮ হাজার ভোট বেড়ে গেছে।

এই নজিরবিহীন ঘটনা নির্বাচন পরিচালনা সম্পর্কে গভীর সন্দেহ এবং আশঙ্কার জন্ম দেয়। এটা যদি সত্য হয় তা হলে এই ঘটনা অবাধ স্বচ্ছ নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের বিকৃতি ছাড়া কিছু নয়।

ভোটদানের হারের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশে দেরি, সংশোধিত হিসাবে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং লোকসভা ক্ষেত্র ধরে বুথভিত্তিক ভোট সংখ্যার হিসাব না দেওয়া জনমনে বহু প্রশ্ন তুলেছে। অবাধ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট পরিচালনার স্বার্থে এবং জনগণের ভোট সঠিকভাবে গণনার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ১৭সি ফর্ম আপলোড করা হোক। একই সাথে নির্বাচনী ক্ষেত্র ধরে বুথভিত্তিক ভোটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে এবং ভোট গণনার সময় তা সঠিকভাবে মিলিয়ে দেখতে হবে।