৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে পালিত হল ভূমিরক্ষা আন্দোলনের শহিদ দিবস। ২০০৭ সালে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকার সর্বনাশ করে ইন্দোনেশিয়ার বহুজাতিক সালিম গোষ্ঠীর হাতে নন্দীগ্রামের বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ভেট দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল পূর্বতন সিপিএম-ফ্রন্ট সরকার। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এলাকাবাসী। ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলে অসমসাহসী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেখানকার খেটে-খাওয়া মানুষ। নানা ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে জয় ছিনিয়ে নেন আন্দোলনকারীরা। শহিদের মৃত্যু বরণ করেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী।
৭ জানুয়ারি ছিল এই আন্দোলনের প্রথম শহিদ ভরত মণ্ডল, সেখ সেলিম ও বিশ্বজিৎ মাইতির মৃত্যু দিবস। তাঁদের মহান প্রাণদান স্মরণে এ দিন শহিদ দিবস পালনের কর্মসূচি নেয় এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)। দলের নন্দীগ্রাম লোকাল কমিটি এই উপলক্ষে এ দিন বাসস্ট্যান্ডে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এলাকার মানুষের সামনে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক কমরেড নন্দ পাত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা আলাদা করে এই সভা করতে চাইনি। কিন্তু শহিদ দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান নিয়ে যে ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটছে তাকে কোনও ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে আলাদা সভা করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে কৃষক আন্দোলনের জন্য নন্দীগ্রাম সারা দেশে স্মরণীয় হয়ে আছে সেই নন্দীগ্রাম সহ সারা রাজ্যের কৃষকরা আজ ফসলের দাম পাচ্ছেন না, সার-বীজ-কীটনাশকের কালোবাজারি হচ্ছে। কৃষকদের সমস্যা সহ জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির সমাধানে তিনি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এস ইউ সি আই (সি)-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ভবানীপ্রসাদ দাস, লোকাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দাস প্রমুখ।