ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের প্রতারণা, কৃষিঋণ গ্রাহকদের উপর অন্যায় জুলুম ও গ্রাহকদের অ্যাকাডন্ট থেকে অবৈধভাবে টাকা কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর–১ ব্লকে প্রতিবাদী মঞ্চের আহ্বানে ৪ নভেম্বর দু’ শতাধিক কৃষি ঋণগ্রহীতা বিক্ষোভ দেখান৷
২০০৮ সালে বন্যার পর কৃষকদের পঞ্চাশ হাজার টাকা কিসান ক্রেডিট কার্ড মারফত লোন প্রদানের কথা ঘোষণা করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখা আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোন দিয়ে বাকিটা ফিক্সড ডিপোজিটে রাখার আশ্বাস দেয়৷ ৯ বছর পর ২০১৭ সালে নূতন ম্যানেজার এসে ওই কৃষকদের সুদে আসলে টাকা ফেরত দেওয়ার ফরমান জারি করেন৷ ওই সময় ঋণী কৃষকরা আন্দোলন গড়ে তুললে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাদের ত্রুটির কথা স্বীকার করে অবৈধ ঋণ মকুব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ সম্প্রতি ফের নতুন ম্যানেজার এসে আবার গ্রামে গ্রামে ফড়ে–এজেন্ট পাঠিয়ে গ্রাহকদের ভয় দেখিয়ে ওই টাকা সুদে–আসলে দিতে বাধ্য করছে৷ এরই বিরুদ্ধে গ্রাহকরা বিক্ষোভ দেখান৷
আন্দোলনের চাপে ব্যাঙ্কের উচ্চ আধিকারিকেরা এসে মঞ্চের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ঋণগ্রহীতাদের ‘নো ডিডজ’ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন৷ ব্যাঙ্কের অন্য কোনও অ্যাকাডন্ট থেকে টাকা কাটা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন৷
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মঞ্চের সভাপতি বুদ্ধদেব রায়চৌধুরী, সম্পাদক আজিজুর রহমান, অজিত ভুঁইয়া, রণজিৎ গিরি প্রমুখ৷ আন্দোলনের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরামের রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দাস, কিসান – খেতমজদুর সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক জগদীশ সাউ, শচীন মান্না প্রমুখ৷