ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত দ্বাদশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৮ মার্চ। এর বিরোধিতা করে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম (এআইবিইইউএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ রায়মণ্ডল এক বিবৃতিতে বলেন, ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের পাঁচটি সংগঠন এআইবিইএ, এনসিবিই, বিইএফআই, আইএনবিইএফ, এনওবিডব্লিউ এবং ব্যাঙ্ক অফিসারদের চারটি সংগঠন এআইবিওএ, এআইবিওসি, আইএনবিওসি, এনওবিও নিয়ে গঠিত ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স (ইউএফবিইউ) দ্বাদশ দ্বিপাক্ষিক বেতন চুক্তিতে সই করেছে যেখানে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। এটা কোনও বিজ্ঞানসম্মত বেতন চুক্তি নয়। পূর্বের অন্যান্য চুক্তির মতো এ বারেও একই ‘অ্যাডহকিজম’ বা কাজ চলার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যার পিছনে নেই কোনও সুসমন্বিত নীতি। ১৯৫৭ সালে পঞ্চদশ ভারতীয় শ্রম সম্মেলন যে সুপারিশ করেছিল সেই অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি, সুষ্ঠুভাবে জীবনযাত্রা পরিচালনার জন্য মজুরি ইত্যাদি নির্ধারণ করতে হবে একজন শ্রমিকের জীবনের সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বর্তমান বাজার-মূল্য বিবেচনার নিরিখে যা ১৯৯১ সালে দেশের শীর্ষ আদালতও বহাল রেখেছিল। অথচ এ ক্ষেত্রে অযৌক্তিক ভাবে পুরাতন বেতনের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতার একাংশ যোগ করে যে পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে তাকে কিছুটা এ-দিক ও-দিক করে নতুন বেতন কাঠামো খাড়া করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এই চুক্তিতে ইউএফবিইউ নেতৃত্ব অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ কর্মচারীদের পেনশন আপডেট করার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছে। পেনশন আপডেট করার পরিবর্তে তাদের নেতৃত্ব এই দাবিটি অযৌক্তিক ভাবে নিস্পত্তি করে এক্সগ্রাশিয়া দিতে চেয়েছে যা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রতি অন্যায় আচরণ।আমরা বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্বার্থ বিসর্জনকারী এই দ্বাদশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত কর্মচারীদের নিম্নলিখিত দাবির ভিত্তিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
১) কোনও মনগড়া পদ্ধতি নয়, পঞ্চদশ ভারতীয় শ্রম সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। ২) এক্সগ্রাশিয়া নয়, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মূল পেনশন আপডেট করতে হবে