৭ এপ্রিল দিল্লির রামলীলা ময়দানে সারা দেশের বেসরকারি স্কুলের মালিকরা সমবেত হয়ে দাবি তোলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে লাইসেন্স–পারমিট রাজ বাতিল করতে হবে৷ ১৯৯১ সালে উদার অর্থনীতি যেমন করে চালু করা হয়েছিল, সেভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রকে বিধিনিষিধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে হবে৷ যাতে তাঁরা অবাধে ব্যবসা করতে পারেন, ইচ্ছা মতো ফি বাড়াতে পারেন, অল্প বেতনে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করতে পারেন৷ অর্থাৎ এককথায় শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যবসায়ীকরণ করতে পারেন৷
দেশে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে৷ তথ্য বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৫–এর মধ্যে সরকারি স্কুলে ১কোটি ১০ লক্ষ শিশু কমে গিয়েছে৷ এই সময়ে প্রাইভেট স্কুলে ১ কোটি ৬০ লক্ষ শিশু ভর্তি হয়েছে৷ এই সময়ে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ৮, ৩৩৭ থেকে বড়ে হয়েছে ৯৬, ৪১৬৷ অর্থাৎ বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ১১ গুণ বেড়েছে৷ এইভাবে যদি সরকারি স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমতে থাকে তা হলে শীঘ্রই সরকারি সুক্লগুলি ‘ভুতের বাড়িতে’ পরিণত হবে৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ৬,১৭৪টি স্কুলের ছাত্র সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে যা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বা শিক্ষানীতির ব্যর্থতার চিহ্ণ বহন করছে৷ (তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ১৭.০৪.২০১৭)
(৭০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ২৭ এপ্রিল, ২০১৮)