বেসরকারি স্কুলের ব্যবসায়িক মনোভাব ও দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি বোর্ড গঠনের, সিপিসিআর নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন গঠন এবং প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক ফোরামের মান্যতার দাবিতে ২৯ মে কলকাতার মহাবোধি সোসাইটি হলে ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন’-এর আহ্বানে অভিভাবক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জেলার প্রায় পঞ্চাশটি স্কুলের দুই শতাধিক অভিভাবক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র গুপ্ত এবং মীরাতুন নাহার, সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষে শিক্ষক বিশ্বজিৎ মিত্র এবং সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। শিক্ষাবিদ পবিত্র গুপ্ত বলেন, মেরুদণ্ড সম্পন্ন নীতিনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিভাবকদের সক্রিয় হতে হবে। শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার বলেন, দেশের শিক্ষা ও তার অঙ্গনকে রক্ষার জন্য অভিভাবকদের এগিয়ে আসা দরকার। দেরিতে হলেও অভিভাবকদের এই সংগঠন আজ আশা জাগাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মিত্র জাতীয় শিক্ষানীতির ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানান।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষা ব্যবসার পণ্য নয়, অধিকার। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রধান লক্ষ্য মুনাফা অর্জন।
প্রতি বছর নানা অজুহাতে লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে, চলছে বই-খাতা নিয়ে ব্যবসা। গত ৮ বছরে বেসরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানোর খরচ বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ, যা মানুষের আয় বৃদ্ধির থেকে অনেক বেশি। অথচ রাজ্য সরকার নীরব দর্শক। ভারতের বহু রাজ্যে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণের কোনও আইন নেই। নেই কোনও রেগুলেটরি বডি। শিক্ষাস্বার্থে নয় দফা দাবিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় কনভেনশনে।