প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গর পক্ষ থেকে ১৮ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বছরের চতুর্থ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার (বৃত্তি) ফল ঘোষণা করা হয়৷ মাতৃভাষা–সাহিত্য–গণিত, ইতিহাস–ভূগোল, বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল৷ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩.২৮ লক্ষ৷ পাশের হার ৮২.০৭ শতাংশ৷ প্রথম বিভাগে ১৬.৫৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বিভাগে ৩০.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিভাগে ৩৫.৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে৷ গত বছর পাশের হার ছিল ৭৩.৯৮ শতাংশ৷ এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অনন্য পাল৷ ৪০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৮৮৷ এ বছর রাজ্য পর্যায়ে ১০০ জন এবং জেলা পর্যায়ে ৮০০ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে যথাক্রমে ১২০০ টাকা ও ৬০০ টাকা বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ১৯৯২ সালে ২০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল এবং ৬০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল৷ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অকুণ্ঠ সহযোগিতার জন্য পর্ষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে৷ সাথে সাথে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন– ২০১৮ সালে প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল চালু করা হোক এবং সরকারি উদ্যোগে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় শুরু হোক৷