মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করা একটি প্রতারণা। মেয়েদের মূল সমস্যা আড়াল করার এটি এক অশুভ প্রয়াস। ২৩ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ছবি মহান্তি। তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়সেই মেয়েদের ভোটাধিকার আছে এবং বিয়ের বর্তমান বয়স ১৮। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাবালিকা-বিবাহ ব্যাপক হারে চলছে। অভাবের কারণে বহু বাবা-মা ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন।
আমাদের মতো একটা পুঁজিবাদী সমাজে মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা নেই। শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, পারিবারিক সম্পত্তি সর্বত্রই এরা বৈষম্যের শিকার। প্রতিদিন মেয়েরা শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে। যে অল্প সংখ্যক মেয়ে অসবর্ণ বিয়ে বা অন্য ধর্মে বিয়েতে সাহস দেখিয়েছে, তাদের অনেকেই পরিবারিক সম্মানের অজুহাতে অনার কিলিং-এর শিকার হচ্ছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নীরব দর্শক, মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। এই পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েরা নানাভাবে প্রথমে বাবা ও পরে স্বামীর অবদমনের শিকার। এগুলিই মেয়েদের জীবনের মূল সমস্যা। এগুলি সমাধানের দিকে নজর দেওয়া যখন জরুরি তখন তা না করে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা সরকারের একটা চমক ছাড়া কিছু নয়।