প্রতি হাজার বিড়ি বাঁধার জন্য কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ন্যূনতম মজুরি ২৩৮.৯৬ টাকা, হাওড়া ও হুগলিতে ২১৩.৬০ টাকা এবং অন্যান্য জেলায় ২০৫.১০ টাকা৷ কিন্তু এই মজুরি কোথাওই দেয় না মালিকরা৷ বিড়ি শ্রমিকরা বাস্তবে পান ৯০ থেকে ১২৬ টাকা৷
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে জেলায় জেলায় যুক্ত আন্দোলন শুরু হয়৷ গত ২৪ নভেম্বর ’১৭ এ আই ইউ টি ইউ সি পরিচালিত বিড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীকে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়৷ এরপর ২৮ নভেম্বর শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মহঃ জাকির হোসেন নব মহাকরণে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১০ দিনের মধ্যে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন৷১৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার ঔরঙ্গাবাদে মালিক–শ্রমিক যৌথ বৈঠক হয়৷ কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর আবার বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মজুরি, বোনাস সহ শ্রমিকদের হাজার বিড়ি প্রতি ২৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫২ টাকা হবে৷ এই মজুরি ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে৷ কিন্তু রাজ্যের বহু জেলাতেই এই মজুরি কার্যকর না হওয়ার জন্য জেলায় জেলায় বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়৷
উত্তর ২৪ পরগণা, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় শ্রম দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ ২৪ জানুয়ারি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি বিডিও অফিসে দুই শতাধিক বিড়ি শ্রমিক বিক্ষোভে সামিল হয়৷
শেষ পর্যন্ত বিডিও দাবি মেনে নিয়ে মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার আশ্বাস দেন৷ অন্যান্য জেলার বহু স্থানে বিড়ি শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে৷