অস্ত্র ব্যবসার মতো লাভজনক ব্যবসা খুব কমই হয়। কোভিড অতিমারিতে যখন বহু ব্যবসায় লাভের হার কমেছে, তখন শুধু ভারতেই নয়, পুঁজিবাদী দেশগুলিতে অস্ত্র ব্যবসায় মুনাফার হার বেড়েছে। সুইডেনের থিঙ্কট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট ৫ ডিসেম্বর যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসায় প্রথম ১০০টি সংস্থার তালিকায় ভারতের রয়েছে দুটি সংস্থা–হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স (হ্যাল) এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স (ভেল)। এর মধ্যে হ্যাল-এর অবস্থান ৪২ নম্বরে, ভেল রয়েছে ৬৩ নম্বরে। গত বছরে হ্যালের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ৩.৩ বিলিয়ন ডলার, ভেলের ১.৮ বিলিয়ন ডলার। প্রথম ১০০টি বৃহৎ অস্ত্র ব্যবসায়ীর তালিকায় চিনের রয়েছে ৮টি সংস্থা। তাদের সম্মিলিত অস্ত্র বিক্রি ১০৯ বিলিয়ন ডলারের। তালিকায় অবশ্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকা। ১০০টির মধ্যে আমেরিকার রয়েছে ৪০টি কোম্পানি। ২০২১ সালে তাদের বিক্রি ২৯৯ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে প্রথম তিনটি হল লকহিড মার্টিন (বিক্রি ৬০ বিলিয়ন ডলার), রেথিয়ন (বিক্রি ৪২ বিলিয়ন ডলার) এবং বোয়িং (৩৩ বিলিয়ন ডলার) (সূত্র ঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া– ০৬.১২.২০২২) ।
দেশ রক্ষার আওয়াজ তুলে বিশ্বের সব পুঁজিবাদী দেশই বিপুল টাকা বরাদ্দ করে সামরিক খাতে। এই টাকা অস্ত্র কেনা, অস্ত্র তৈরি, যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগে। দেশে দেশে যুদ্ধ, সীমান্ত বিরোধ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মানুষের জীবনের অভিশাপ হলেও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে তা আর্শীবাদ।