বিভেদ ও গণতন্ত্র-হত্যার বিরুদ্ধে সরব বুদ্ধিজীবীরা

২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী-বুদ্ধিজীবী মঞ্চের ১৭তম বার্ষিকীতে কলকাতার রামমোহন লাইব্রেরি হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল। শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও নীরবতা পালনের পর সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ ও গণবিক্ষোভ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন-সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে প্রস্তাব নেওয়া হয়। প্রস্তাব উত্থাপন করেন অধ্যাপক সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও সমর্থন করেন ডাঃ নীলরতন নাইয়া।

‘ধর্ম বর্ণ বিভেদ, মানবাধিকার হরণ, দুর্নীতি ও গণতন্ত্র নিধনের উৎস সন্ধানে’ বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর, প্রধান শিক্ষক আনোয়ার আলি ও বরিষ্ঠ অ্যাডভোকেট পার্থসারথি সেনগুপ্ত। জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান কোষাধ্যক্ষ অজয় চ্যাটার্জী। সভাপতিত্ব করেন বিভাস চক্রবর্তী। প্রারম্ভিক উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী এবং সঞ্চালনা করেন ডাঃ তরুণ মণ্ডল।।

দ্বিতীয়ার্ধে সঙ্গীত, আবৃত্তি, বৃন্দ-গানে অংশগ্রহণ করেন আশিস চক্রবর্তী, আশিস বসু, অমিত রায়, রণেন ধাড়া, কুমুদ মণ্ডল এবং ‘সাম্পান’ ও ‘পিসিএআই’ শিল্পীবৃন্দ। রামমোহন লাইব্রেরি হল শ্রোতার উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ ছিল।