নিউ জলপাইগুড়ির কাছে রাঙাপানি স্টেশনে ১৭ জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে যাত্রী নিরাপত্তায় ভারতীয় রেলের চরম অবহেলার তীব্র নিন্দা করে এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর দাশগুপ্ত ১৮ জুন এক বিবৃতিতে বলেন,রেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি মৃত চালককেই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে নিজেদের অপদার্থতা চাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নাম কা ওয়াস্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন। সর্বোপরি, মৃত ও আহতদের় পরিবারের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের যে পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন, তা অতি সামান্য।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ও আধুনিকীকরণের নামে কিছুদিন বাদে বাদেই যাত্রীভাড়া বাড়ানো হচ্ছে, অথচ বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় রেলে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অবহেলিত হয়ে আসছে। দশকের পর দশক ধরে রেল দফতরের বিপুল সংখ্যক স্থায়ী পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে ট্রেন-চালক সহ রেলের অন্যান্য কর্মীদের উপর কাজের বিপুল চাপ। বিরতি ছাড়াই রাতের পর রাত দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে তাঁরা বাধ্য হন, যার ফলে তাঁদের ও যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ভারতীয় রেলের প্রধান লক্ষ্য হল যে কোনও মূল্যে বিপুল মুনাফা করা। বর্তমানে রেল দফতরের বড়কর্তাদের কাছে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতার কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই। সামগ্রিক খরচ কমাতে এমনকি বারোমেসে কাজগুলিকেও কন্ট্র্যাক্টর বা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে যাদের উপযুক্ত দক্ষতা নেই। এআইইউটিইউসি দাবি জানিয়েছে– নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, বিন্দুমাত্র দেরি না করে সমস্ত শূন্য পদ পূরণ করতে হবে ও সমস্ত বিভাগের প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মীদের় জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, মৃত ও আহতদের পরিবারপিছু যথাক্রমে ৩০ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।