৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাবেকার সভাপতি সঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুৎ মাশুল পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত বেশি হওয়ায় কৃষি ও শিল্পের ক্ষেত্রে বহু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে৷ এরই ফলে ব্যাপকহারে বেকার বৃদ্ধি এবং সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে৷ আমরা বহুদিন ধরে বিদ্যুতের মাশুল কমাবার দাবি করে আসছি কিন্তু বিগত বামফ্রন্ট সরকার এবং বর্তমান সরকার তা করতে রাজি হয়নি৷ বর্তমানে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে যার ফলে সরকার চাইলেই কোম্পানিগুলিকে আইনসঙ্গত লভ্যাংশ দিয়েও মাশুল ৫০ শতাংশ কমাতে পারে৷
তিনি বলেন, ২০১৬–১৭ সালে কয়লার দাম কমেছে ৪০ শতাংশ, জি এস টি কমেছে ৭ শতাংশ এবং কোম্পানিগুলির ক্ষতির পরিমাণ আরও ২ শতাংশ কমেছে যার ফলে সি ই এস সি–র সাশ্রয় হয়েছে ১০৮০.৫৪ কোটি টাকা আর বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম ও বণ্ঢন কোম্পানির সাশ্রয় হয়েছে ৩,১৮৯.০৩ কোটি টাকা৷ এই টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী ও রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিদ্যুতের মাশুল কমাতে বললেও মাশুল কমানো হচ্ছে না৷ এই টাকা গেল কোথায়? হয় এই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হোক অথবা মাশুল কমানো হোক৷
সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী বলেন, তেলেঙ্গানা সরকার সারা রাজ্যে কৃষিতে বিনা পয়সায় ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কৃষিতে বিদ্যুৎ মাশুল বেড়েই চলেছে৷ তিনি আরও বলেন, ৫০ শতাংশ মাশুল কমানোর দাবিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক কলকাতায় অবস্থান করবেন এবং ওই দিন ১০ লক্ষ গ্রাহকের স্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে৷