কয়লার দাম ৪০ শতাংশ কমেছে, জি এস টি হয়েছে ৭ শতাংশ, তার উপর কোম্পানিগুলির বাণিজ্যিক ও কারিগরি ক্ষতি কমেছে ২ শতাংশ৷ এতে বিগত ২ বছরে সাশ্রয় হয়েছে ৮,৫৩৯.১৪ কোটি টাকা৷ ফলে বর্তমান মাশুল কমানোর মাধ্যমে অতি সহজেই এই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া যেত৷ কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কমিশন তা না করে ২০১৭–’১৮–র মাশুল একই রেখে দেওয়ার ঘোষণা করেছে৷ ভাবখানা এমন, যেন তারা মাশুল বাড়ালো না৷ কিন্তু আসলে বর্তমানের অত্যধিক মাশুল বজায় রেখে তারা কৌশলে সেই টাকা মালিকদের হাতেই তুলে দিল৷
গ্রাহকদের এইভাবে প্রতারিত করার তীব্র নিন্দা করে ১০ জুলাই কলকাতার গ্রাহক সমাবেশে অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী মাশুল কমানোর দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান৷ ১০ জুলাই সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবসে কলকাতায় সিইএসসি–র সদর দপ্তরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অ্যাবেকার সহ সভাপতি অনুকূল ভদ্র, কলকাতা জেলা সম্পাদক সুশান্ত পাত্র, দীপু গুপ্ত প্রমুখ৷
একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, মালদহ, বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ সমস্ত জেলায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনে কমিশনের ঘোষণাপত্র পুড়িয়ে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন, অবরোধ, প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়েছে৷
(৭০ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা ২০ জুলাই, ২০১৮)