করোনা ভাইরাসে সারা পৃথিবী আক্রান্ত। চলছে মানুষের মৃত্যুমিছিল। দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। জনজীবন স্তব্ধ। সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারের কোনও জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার রাস্তা বন্ধ। এই পরিস্থিতির পূর্ণ সুযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দের বিজেপি সরকার চুপিসারে নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ বিল-২০২০, যে বিলের মূল উদ্দেশ্য, বিদ্যুৎ শিল্পের বন্ট ন বিভাগের বেসরকারিকরণ।
বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণের প্রেক্ষাপট
বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমান সভ্যতা এক মুহূর্তও সচল থাকতে পারে না। ফলে বিদ্যুৎ কোনও পণ্য নয়, বর্তমান জনজীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। ১৯৪৭ সালে আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৩৮২ মেগাওয়াট এবং ১৯১০ সালের আইন অনুযায়ী উৎপাদন ও বণ্টন ছিল বেসরকারি মালিকদের নিয়ন্ত্রণে। স্বাধীনতার পর শিল্পের বিকাশ ও জনজীবনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুতের ব্যাপক উৎপাদনের প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু ওই সময় বিদ্যুতের উৎপাদন, সংবহন ও বণ্টনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত ব্যায়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনামূলক বিদ্যুৎ শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগের কোনও আগ্রহই দেখায়নি ভারতের পুঁজিপতি শ্রেণি। তারা বিদ্যুতের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। ফলে পুঁজিপতি শ্রেণি ও তাদের স্বার্থরক্ষাকারী তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের মধ্যেবোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও তার পরিকাঠামো গড়ে তোলার দায়িত্ব বর্তায় সরকারের উপর। অর্থাৎ জনগণের অর্থে স্বাধীন ভারতে বিদ্যুতের উৎপাদন ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। সেই লক্ষ্যে ১৯১০ সালের আইন বাতিল করে প্রণীত হয় বিদ্যুৎ সাপ্লাই আইন-১৯৪৮। এই আইনের মধ্য দিয়ে দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কলকাতা সহ দুয়েকটি শহর বাদে সরকারের কুক্ষিগত হয় এবং রাজ্যে রাজ্যে গড়ে ওঠে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। ১৯৪৮ সালের প্রণীত আইনে বিদ্যুৎ পর্ষদগুলি ‘নো লস-নো প্রফিটের’ ভিত্তিতে চালানোর কথা বলা হলেও পরবর্তীকালে পর্ষদগুলির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ লাভের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ‘৬০-এর দশকের পরবর্তীকালে দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করার জন্য ভারত সরকারের উদ্যোগে ডিভিসি, এনটিপিসি, এনএইচপিসি,পরমাণু বিদ্যুৎ কর্পোরেশন, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন প্রভৃতি একাধিক সংস্থা গড়ে ওঠে। পাশাপাশি গড়ে ওঠে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকাঠামো অর্থাৎ ন্যাশনাল গ্রিড। বর্তমানে দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে চলছে বিদ্যুৎ কেনাবেচা। শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, দেশের বাইরে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিক্রি।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জনগণের অর্থে বিদ্যুতের বিশাল পরিকাঠামো গড়ে ওঠার পর বিগত শতাব্দীর ‘৯০-এর দশকের শেষে বিশ্বায়নের আর্থিক নীতি প্রবর্তিত হওয়ার পর এদেশের একচেটিয়া পুঁজিপতিরা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে মরিয়া হয়ে সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু বাধা ছিল বিদ্যুৎ সাপ্লাই আইন-১৯৪৮। বেসরকারি মালিকদের মুনাফার স্বার্থে ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে পরিচালিত বিজেপি সরকারের উদ্যোগে এবং কংগ্রেসের সমর্থনে প্রণীত হয় বিদ্যুৎ আইন-২০০৩। বাতিল হয় ১৯৪৮ সালের আইন। পরিষেবামূলক চরিত্র ধ্বংস করে বিদ্যুৎকে পণ্যে পরিনত করার যাত্রা শুরু হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের ছাড়পত্র পেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি)-রা অর্থাৎ বেসরকারি মালিকরা।
বর্তমানে সারা দেশে মোট উৎপাদিত ৩৭০০৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশ উৎপাদন করে বেসরকারি মালিকরা। নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি সম্প্রতি ভারতের বৃহত্তম লাভজনক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি সংস্থা ‘মহারত্ন’ নামে আখ্যায়িত এনটিপিসি-র নিয়ন্ত্রণ নিতে উদ্যত হয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। পুঁজিপতিদের আবদার মেনে নিয়ে বিজেপি সরকার এনটিপিসি-র শেয়ার ১০ শতাংশ বিক্রি করে ৪৬.৯ শতাংশে আনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এনটিপিসি-র কর্তৃত্ব কুক্ষিগত হবে মুনাফাশিকারি বেসরকারি মুনাফাবাজদের হাতে, যদিও ২০১৮-‘১৯ সালে এনটিপিসি মুনাফা করেছে ১২৬৩৩.৪৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ আইন-২০০৩-এর ঘোষিত লক্ষ্য ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার গালভরা স্লোগান প্রহসনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩৪ কোটি মানুষের ঘরে আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার মালিকরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমান ঋণ শোধ না করে এনপিএ-র পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুৎ আইন-২০০৩ প্রণীত হওয়ার পরও অধিকাংশ রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ এপ্রিল কেন্দের বিজেপি সরকার সমগ্র দেশে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ বিল-২০২০। বিলের উদ্দেশ্য হিসাবে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের দাম কমানোর গালভরা কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটা যে কত বড় অসত্য, তা আমরা আগেই প্রত্যক্ষ করেছি টেলিকম শিল্পের ক্ষেত্রে। সেখানে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির নাম করে কার্যত পুঁজিপতিদের অন্যায় ভাবে নানা মদত দিয়ে কিভাবে সরকারি সংস্থা বিএসএনএল-এর বারোটা বাজানো হয়েছে তা সকলেরই জানা।
এখনদেখা যাক বিদ্যুৎ বিল-২০২০-র মূল বিষয়বস্তু কী এবং এর মধ্য দিয়ে কোন শ্রেণি উপকৃত হবে।
(১) কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে গঠিত হবে ‘দি ইলেকট্রিসিটি কন্ট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি’ (ইসিইএ। সংস্থাটি যথাযথভাবে আইনি ক্ষমতার অধিকারী হবে। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য, ঝুঁকিহীন ব্যবসার পরিমণ্ডল সৃষ্টি করে বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করা।
(২) উৎপাদন ও বণ্টন কোম্পানির মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি ‘পাওয়ার পারচেজিং এগ্রিমেন্ট) সম্পাদনের পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হবে ইসিইএ। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও কার্যকরী ভূমিকা থাকবে না।
(৩) বেসরকারি মালিকদের মুনাফা সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যবসা তিনটি স্তরে বিভক্ত হবে। ডিস্ট্রিবিউশন লাইসেন্সির অধীনে সাব ডিস্ট্রিবিউশন লাইসেন্সি ও ফ্র্যানচাইজি কাজ করবে। ফ্র্যানচাইজিদের কোনও লাইসেন্স লাগবে না।
(৪) দেশের সর্বত্রই চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। বিক্রীত বিদ্যুতের টাকা আদায়ের প্রশ্নে যথেষ্ট নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহেরক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাদেখাদেবে ।
(৫) বর্তমানে চালু পারস্পরিক ভর্তুকি (ক্রস সাবসিডি) তুলেদেওয়া হবে। সামান্য পরিমাণ ভর্তুকি যে বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত গ্রাহকদের জন্য চালু থাকবে সেটা সরাসরি তাদের নগদে দেওয়া হবে। ভর্তুকির টাকা কিভাবে কতদিন পরে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলানেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃথিবীর বহু দেশেই বর্তমানে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ক্রস সাবসিডি চালু আছে।
(৬) যেসব কৃষক জমির মালিক, কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির টাকা তারাই নগদে সরাসরি পাবে। ফলে অন্যের জমি চুক্তিতে বা লিজে নিয়ে যে কৃষকরা এবার চাষ করবে, এতদিন পর্যন্ত তারা ভর্তুকির যে সুবিধা ভোগ করত, তাথেকে বঞ্চিত হবে।
(৭) কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে বর্তমানে চালু মিটারের অবলুপ্তি ঘটিয়ে প্রি-পেড মিটার প্রবর্তিত হবে। ফলে বিদ্যুৎ ভোগ করুক বা না-করুক, সকল গ্রাহককেই আগে বিদ্যুতের চড়া দাম মিটিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সারা দেশে ঠিকাদারদের অধীনে কর্মরত প্রায় লক্ষাধিক মিটার রিডার তাদের কাজ হারাবে।
বিদ্যুৎশিল্পে বেসরকারিকরণের পরিণতি
বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণের পরিণতি কখনই কর্মী ও গ্রাহকস্বার্থের পক্ষে কল্যাণকর হয়নি। ১৯৯৪ সালে ব্রিটেনে বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণের ফল কর্মী ও গ্রাহকদের দুর্দশা বৃদ্ধি করায় সরকার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়। আমাদের দেশে এনরনের জালিয়াতির অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। ওড়িশায় রাজ্যস্তরে আইন প্রণয়ন করে বণ্টন বিভাগে যে বেসরকারিকরণ করা হয়েছিল তার ফল হয়েছে বিষময়। আমেরিকান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ওড়িশাকে লুঠ করে চলে গেছে। ইতিমধ্যে বিহারের গয়া, সমস্তিপুর, ভাগলপুর, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র, সাগর, উজ্জয়িনী, মহারাষ্ট্রর নাগপুর, জলগাঁও, ঔরঙ্গাবাদ, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, জামশেদপুর প্রভৃতি শহরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনগুলি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিছু বেসরকারি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। দেশ-বিদেশের এই বিষময় অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার সমগ্র দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্তরে আইন প্রণয়নের জন্য বিদ্যুৎ বিল-২০২০ নিয়ে এসেছে। উদ্দেশ্যে, সঙ্কটগ্রস্ত পুঁজিপতি শ্রেণির বাঁচার রাস্তা সাময়িক একটু সুগম করা। এই বিল আইনে পরিণত হলে (১) বিদ্যুতের পরিষেবামূলক চরিত্র এখনও যতটুকু অবশিষ্ট আছে তা নিঃশেষিত হয়ে পুরোপুরি মুনাফার পণ্যে পরিণত হবে। (২) পারস্পারিক ভর্তুকির অবলুপ্তির ফলে সাধারণ গ্রাহকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (৩) জনগণের অর্থে গড়ে ওঠা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি বেসরকারি মালিকরা জলের দামে আত্মসাৎ করবে। (৪) কোম্পানিগুলির নিজস্ব কর্মীসহ লক্ষ লক্ষ ঠিকাকর্মীর জীবনে আসবে চরম অনিশ্চয়তা। (৫) ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে বেসরকারি মালিকদের উপস্থিতির জন্য বণ্টন কোম্পানিগুলি চড়া দামে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হওয়ার ফলে সমগ্র দেশে বিদ্যুতের গড় দাম প্রায় ৮ টাকা। এরপর বিদ্যুৎ বিল-২০২০ আইনে পরিণত হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দামকোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা সহজেই অনুমেয়। (৬) ফ্র্যানচাইজিদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক না হওয়ায় বিদ্যুতের মতো ঝুঁকিবহুল ও দুর্ঘটনাপ্রবণ শিল্পে নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বিল-২০২০ আইনে পরিণত হলে শুধু বিদ্যুৎকর্মী নয়, কোটি কোটি সাধারণ গ্রাহকের স্বার্থও বিপন্ন হবে। লুঠ হবে জনগণের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দানবীয় বিলের বিরোধিতা করেনি। আশার বিষয়, এআইইউটিইউসি অনুমোদিত অল ইন্ডিয়া পাওয়ারমেন্স ফেডারেশন সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন অনুমোদিত বিদ্যুৎকর্মীদের ফেডারেশন ও ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন নিয়ে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎকর্মীদের জাতীয় সমন্বয় কমিটি এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করছে।
পশ্চিমবাংলার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগ্রামী সংগঠন অ্যাবেকাও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। অনেক রাজ্য সরকার এই বিলের বিরোধিতা করেছে। দেশব্যাপী গড়ে ওঠা এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে সংগঠিত প্রতিরোধ আন্দোলনে উন্নীত করার জন্য বিদ্যুৎকর্মী, ইঞ্জিনিয়ার ও গ্রাহকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।