করোনা অতিমারিতে সাধারণ মানুষের জীবন চরম দুর্দশার মধ্যে কাটছে। প্রতিদিন জীবন যাপনের রসদটুকু জোগাড় করতে যখন সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তখন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো নেমে এসেছে বিদ্যুতের বাড়তি বিল, কখনো বা ভুয়ো বিল অথবা সিইএসসি কর্তৃক বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ গ্রাহকদের পকেট কেটে নিজেদের অর্থের ভাণ্ডার বাড়িয়ে তোলার হীন চক্রান্ত। এ রাজ্যের বুকে একমাত্র বিদ্যুৎ গ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকা দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের অনিয়ম ও গ্রাহকস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করে চলেছে। অনেক মূল্যের বিনিময়ে বহু দাবিও অর্জিত হয়েছে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ও বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকস্বার্থের বিভিন্ন দাবিতে ৭ জুলাই দাবি দিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সর্বত্র গ্রাহকরা রাস্তায় নেমে দাবি দিবস পালন করেছেন।
কলকাতাঃ এদিন কলকাতায় সিইএসসি সদর দপ্তর ভিক্টোরিয়া হাউসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ও কলকাতা জেলা সভাপতি শিবাজী দে-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় দাবি তোলেন, অবিলম্বে গৃহস্থে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দিতে হবে, কোনও ভাবেই বিদ্যুতের লাইন কাটা যাবে না ও অতিমারির সময় ডিলে পেমেন্ট সারচার্জ নেওয়া চলবে না।
বাঁকুড়াঃ যানবাহনের অসুবিধা সত্ত্বেও বিদ্যুৎগ্রাহকরা এ দিন জেলার প্রধান বিদ্যুৎ দপ্তরের মূল গেটে সমবেত হয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিদ্যুৎ পরিষেবার নানা সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি জনবিরোধী বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল-২০২১-এর তীব্র নিন্দা করেন এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। লাগাতার আন্দোলনের চাপে উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎগ্রাহকরা যে সেখানকার বিজেপি সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন, সে কথাও উল্লেখ করেন বক্তারা। শেষে ১০ দফা দাবি সংবলিত দাবিপত্র আরএম-এর কাছে জমা দেওয়া হয়। স্থানীয় দাবিগুলি দ্রুত পূরণ ও অন্যান্য দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।