বিদ্যুৎ এখন মুনাফার কামধেনু। পিডিসিএল, ডব্লুবিএসইডিসিএল ও সিইএসসি-র মতো সরকারি বেসরকারি সব বিদ্যুৎ সংস্থাই এখন দাবি তুলছে মাশুল বাড়াতে হবে এবং তা কার্যকর করতে হবে পাঁচ-ছয় বছর আগে থেকে।
এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিদ্যুৎগ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকা। ২৩ নভেম্বর বিদ্যুৎমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়ে অ্যাবেকা দাবি জানায় কৃষিতে বিনামূল্যে বিুদ্যৎ দিতে হবে, গৃহস্থকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দিতে হবে, ক্ষুদ্র শিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট ১৪ টাকায় দিতে হবে, এলপিএসসি ২৪ শতাংশের পরিবর্তে ব্যাঙ্করেট করতে হবে, গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া প্রিপেড মিটার চালু করা চলবে না, বিদ্যুৎ বিল সংশোধনী-২০২১ বাতিল করতে হবে। এদিন কলকাতায় বেলেঘাটা রাসমণি বাজারে গ্রাহক জমায়েতে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বলেন, ভবিষ্যতে যদি দাবি ওঠে ঠাকুর্দার আমল থেকে মাশুল বৃদ্ধি কার্যকর করতে হবে তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই মুনাফার অর্থনীতির দস্তুর। পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনিবার্য পরিণাম।
‘৯০ সালে বিশ্বায়নের নামে যে উদার অর্থনীতি গ্রহণ করেন ইউপিএ জমানার অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং, সেখানেই বিদ্যুতকে পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে মুনাফার পণ্য করা হয়েছে। আজ তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাসের নেতৃত্বে চার জনের প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎমন্ত্রীকে এবং সহ-সভাপতি প্রদ্যুৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন জনের প্রতিনিধিদল রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেন।