অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ২৪ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, গত ৩ দিনে উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, মালদা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরেও বর্ষায় রাজ্যে ১৯ জনের মর্মন্তুদ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের মৃত্যু রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডব্লিউবিএসইডিসিএল, সিইএসসি ও রাজ্য সরকারকে অ্যাবেকার পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে একাধিকবার জানানো হলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।
প্রতি বছরই বর্ষার জমা বিদ্যুতায়িত জলের ছোঁয়ায়, জলে ভেজা বিদ্যুৎ স্তম্ভের খোলা তারের ছোঁয়ায়, বিদ্যুতবাহী ঝুলন্ত ছেঁড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে, আবার কোথাও দরজা ভাঙ্গা বা খোলা ফিডার বাক্স থেকে বিদ্যুতায়িত জমা জলের ছোঁয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই ধরনের মৃত্যু ঘটছে। এর জন্য দায়ী কে? রাজ্য সরকার, কলকাতা কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটিগুলি কি তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে ? সিইএসসি, ডব্লিউবিএসইডিসিএল কি এই দায় এড়াতে পারে? যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ কোথায়? মাশুলবৃদ্ধির দিকে যত নজর নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের সেই তৎপরতা ও যত্ন নেই কেন?
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আবারও দাবি জানিয়েছে অ্যাবেকা। মৃতদের নিকট আত্মীয়কে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।