ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ১২৫টি বুনিয়াদি স্কুলে ‘বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প’ চালু করেছে। এই প্রকল্পটি চালু করার সময় বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কোনওটাই করা হয়নি। বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বার্ষিক এক হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করেছে সেভ এডুকেশন কমিটি। কমিটির রাজ্য সম্পাদক অসিত দাস বলেন, এ বছরের সিবিএসসি-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির শোচনীয় ফলাফল হয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী জনগণ হতাশ। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের নামে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্বিখণ্ডিত করা হচ্ছে। তা ছাড়া পিছিয়ে পড়া এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের কথা বলে বিদ্যালয়গুলির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে ছাপানো প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করার ফলে তুলনামূলক ভাল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। এই প্রকল্পাধীন বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আগামী দিনে ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।
এই অবস্থায় অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির ত্রিপুরা রাজ্য শাখা এই অবৈজ্ঞানিক বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প বাতিল করে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটিয়ে শিক্ষার সার্বিক অগ্রগতির জন্য ৩ জুন ৮ দফা দাবিতে শিক্ষা দপ্তরের ডাইরেক্টর অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের কাছে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অসিত দাসের নেতৃত্বে স্মারকলিপি দেয়। দপ্তরের সামনে দাবিগুলির সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়।