ভারতের ১ কোটি বিড়ি শ্রমিকের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন ২৩ লক্ষ। অনেক আন্দোলনের ফলে ১৯৭৬ সালে লোকসভায় পাস হওয়া বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ আইনে শ্রমিকদের কল্যাণ প্রকল্পের জন্য মালিকদের কাছ থেকে হাজার বিড়ি প্রতি ৫ টাকা সেস সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছিল। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিড়ি শিল্পে সেস তুলে দিয়ে জিএসটি চালু করে সরকারের আয় তিন গুণ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারি বরাদ্দ খুবই সামান্য। ফলে টাকার অভাবে এই প্রকল্পের বহু কাজ বন্ধ।
বিড়ি শ্রমিকদের সন্তানদের পড়ার জন্য স্কলারশিপের টাকা বন্ধ ২০২০ সাল থেকে। গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের টাকা বাকি ২০১৭ সাল থেকে। এর মধ্যে হঠাৎ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত বিড়ি শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে কলকাতার বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ দপ্তর জেলায় জেলায় তাদের মেডিকেল ইউনিটের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের কাছ থেকে সরকারি শ্রমিক কার্ড, ই-শ্রম কার্ড ও আধার কার্ডের জেরক্স সংগ্রহ শুরু করায় বহু জেলায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে ১৬ আগস্ট এআইইউটিইউসি অনুমোদিত বিড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি অশোক দাসের নেতৃত্বে প্রবীর দে, সনাতন দাস ও চন্দ্রমোহন মানিক স্মারকলিপি পেশ করেন।