মহিলাদের উন্নয়নে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘প্রবল আগ্রহ’ শুধুমাত্র বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে সীমাবদ্ধ– এমন বললে কিন্তু ভুল অভিযোগ করা হবে। সেই ২০১৪ সালে প্রথমবার কেন্দ্রীয় সরকারে বসার আগে তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারেও বিজেপি ‘সমাজ ও জাতির বিকাশ ও উন্নয়নে নারীশক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’র কথা উল্লেখ করেছিল, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নারীদের ‘ক্ষমতায়ন ও কল্যাণে দায়বদ্ধ’ থাকার। সেই যে তারা ‘জাতি নির্মাণের কারিগর’ বলে দেশের নারীসমাজের স্তুতি শুরু করেছিল, এ বারেও তার কমতি হয়নি। এ বারের নির্বাচনী ইস্তেহারেও বিজেপি মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের দেদার প্রতিশ্রুতি বিলিয়েছে। নারীদের আর্থিক স্বনির্ভরতা, চিকিৎসার সুযোগ, কর্মরত মহিলাদের জন্য হোস্টেল, ক্রেশ ইত্যাদির সংখ্যা এবং খেলাধূলায় তাদের যোগদান বৃদ্ধি করার ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ ঘোষণা করেছে। শুনলে মনে হয়, বিশাল এই দেশের গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে রয়েছে পড়াশোনার সুযোগবঞ্চিত, ঘোমটা-টানা, পিছিয়ে থাকা নারীসমাজের যে বিরাট অংশ, তাদের জীবনে আলো জ্বালতে গত দশ বছরের শাসনে বিপুল উদ্যোগে চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি সরকার। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এক দশকের বিজেপি শাসনে দেশের নারীসমাজের হাল কতটা ফিরেছে।
মহিলাদের উপর অপরাধের সংখ্যা বেড়ে চলেছে
সমাজে নারীরা কতখানি সুরক্ষিত, তা তাদের জীবনমান উন্নয়নের ছবিটিকে স্পষ্ট করে। ২০১৪ সালের ইস্তেহারে বিজেপি নারী-সুরক্ষার বেহাল দশার জন্য তৎকালীন ইউপিএ সরকারের অপদার্থতার প্রবল সমালোচনা করেছিল। ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড বুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সময়ে ২০১২ সালে মহিলাদের উপর ঘটা অপরাধের সংখ্যা ছিল ২.৪৪ লক্ষ। ওই এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ৮ বছরের শাসনের পর ২০২২ সালে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ৪.৪৫ লক্ষে। এর এক বছর আগে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪.২৮ লক্ষ। দেশের মধ্যে আবার বিজেপি-শাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’-এর উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা এই সময়ে ঘটেছে সবচেয়ে বেশি– ৬৫ হাজার ৭৪৩টি (সূত্রঃ নিউজক্লিক, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩)। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটও এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই। মধ্যপ্রদেশে শুধু ২০২২ সালে ৩ হাজার ৪৬টি ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গুজরাটেও মহিলাদের উপর হামলা, খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বোঝাই যাচ্ছে, গোটা দেশ তো দূরের কথা, এমনকি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি নিজে সরকারে রয়েছে, সেখানেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে তারা ব্যর্থ।
ঝলমলে বিজ্ঞাপন বাদে লিঙ্গ-সমতা ও নারীশিক্ষা অন্ধকারেই
প্রথমবার সরকারে বসার পরেই ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গিয়েছিল দেশ। নারী ও পুরুষ শিশুর সংখ্যায় সমতা আনা ছিল এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। সরকারি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে বিপুল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রকল্পটির দেদার প্রচার সত্ত্বেও বাস্তবে ২০২২-’২৩ সালেও প্রতি ১ হাজারটি পুরুষ শিশুর তুলনায় দেশে শিশুকন্যার সংখ্যা মাত্র ৯৩৩টি। অর্থাৎ বেটি বাঁচানোর যে প্রতিশ্রুতি বিজেপি দিয়েছিল, দশ বছরের শাসন শেষে তার ব্যর্থতা স্পষ্ট।
শিশুকন্যাদের পড়াশোনার আওতায় আনার ক্ষেত্রে সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৪-’১৫ সালে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় কন্যা-শিক্ষার্থী ৭৫.৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯-’২০-তে হয়েছে ৭৭.৮৩ শতাংশ। সামান্য হলেও বৃদ্ধি, সন্দেহ নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সমস্ত এলাকা জুড়ে এই বৃদ্ধি সমান হারে হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, কন্যা সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারের ঘটা যতখানি দেখা গেছে, তার সামান্যও দেখা যায়নি গোটা বিষয়টি সম্পর্কে পরিকল্পনা ও তার রূপায়নে। তথ্য বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২১-এ মোদি সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের বিজ্ঞাপনেই শুধু খরচ করেছে মোট বরাদ্দের ৫৮ শতাংশ অর্থ! (সূত্রঃ স্ক্রল ডট ইন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ’২৪)। কিন্তু হাথরস কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের জন্য ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ধর্ষণকারীদের সমর্থনে বিজেপি বিধায়কদের মিছিলের মতো বীভৎস ঘটনা আড়াল করবে কোন বিজ্ঞাপন?
রুগ্নতাই সাথী ধুঁকতে থাকা নারীসমাজের
২০১৪-র নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, তারা সরকারে এলে দেশের মহিলাদের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতির উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দেবে। বিশেষ লক্ষ রাখা হবে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শারীরিক পুষ্টিতে। ২০১৯-এও তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নানা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেবে বিজেপি সরকার।
দশ বছর ধরে কেন্দ্রে বিজেপি শাসনের পর কী দেখা যাচ্ছে? ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)-র তথ্য বলছে, ভারতে প্রসবকালীন মৃত্যু হয় প্রতি ১ লক্ষে ১৭৪ জন প্রসূতি মায়ের, যা এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলাই রক্তশূন্যতার শিকার। পরিণামে গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের সময় তাঁরা নানা অসুস্থতায় ভোগেন (সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২৯ মার্চ, ’২৩)। ২০১৯-’২১-এর অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশের অধিকাংশ মহিলা অসুস্থ হলে উপেক্ষার শিকার হন। দেশের ৬০ শতাংশ মহিলাই উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ পান না।
কাজের সুযোগ মেলে না মহিলাদের
কাজের বাজারে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার বহু বছর ধরেই ভারতে অত্যন্ত কম। কিন্তু মোদি সরকারের গত দশ বছরের নয় বছরেই এই হার আরও কমেছে। ২০১২ সালে কাজের বাজারে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ছিল ২৭ শতাংশ। ২০২১-এ তা কমে দাঁড়ায় ২৩ শতাংশের কাছাকাছি। পরের বছর সামান্য বেড়ে এই হার হয় প্রায় ২৪ শতাংশ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হার বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে কৃষিকাজে ও স্বনিযুক্ত কাজে মেয়েদের বেশি করে অংশগ্রহণ, যা থেকে প্রায়ই কোনও মজুরি মেলে না।
মোদি সরকারের আমলে, বিশেষ করে কোভিড অতিমারির পর থেকে দেশের নানা ক্ষেত্রের মহিলা কর্মীরা চূড়ান্ত দুর্দশার মধ্যে কাজ করে চলেছেন। সংসার চালানোর দায়ে উপযুক্ত কাজের অভাবে আরও বেশি বেশি করে মহিলারা অসংগঠিত ক্ষেত্রের নানা কাজে সামিল হচ্ছেন। গৃহ-পরিচারিকা, দিনমজুর, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ফুটপাথের ছোট দোকানদার, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কাজে যুক্ত মহিলারা কী ভয়ানক নিরুপায়তায় সামান্য রোজগারের জন্য প্রতিদিন অমানুষিক পরিশ্রম করে চলেছেন, সকলেরই তা জানা। অথচ কেন্দ্রের মোদি সরকারের কোনও হেলদোল নেই। সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি ও উপযুক্ত ভাতার দাবিতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করে চলেছেন। ‘নারীশক্তি’র মহিমা কীর্তনে ব্যস্ত মোদি সরকার মন্ত্রী-সাংসদদের মাইনে বাড়াতে ব্যস্ত হলেও এই বিপুল সংখ্যক নারী-কর্মীদের দুর্দশা দূর করার দিকে সামান্য নজর দিতে রাজি নয়।
মহিলাদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্পেও হাত গোটাচ্ছে মোদি সরকার
দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মহিলাদের জন্য জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’-র বিজ্ঞাপনে এক সময়ে ছেয়ে গিয়েছিল শহর-গ্রাম-নগরের পথঘাট। কাঠকুটো জ্বেলে রান্না করতে গিয়ে ধোঁয়ার বিষে আক্রান্ত মহিলাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ নাকি কেঁদে উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালে, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি গ্যাস সিলিন্ডার তুলে দেওয়া হয়েছিল গরিব মহিলাদের হাতে, বিনা মূল্যে। কিন্তু ওই একবারই বিনা পয়সায় সিলিন্ডার পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপর সরকারি রিপোর্টে দেখা গেল, প্রাপকদের প্রায় ৫৭ শতাংশই তাঁদের প্রাপ্য বছরে ১২টি গ্যাস সিলিন্ডার নিতে পারেননি টাকার অভাবে। কেউ একটা, কেউ খুব বেশি হলে দুটো বা তিনটে নিতে পেরেছেন, তার পর ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন আবার সেই কাঠকুটোর জ্বালানিতে।
শুধু উজ্জ্বলা যোজনাই বা কেন, অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্প যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার বেশি, সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বাজেট বরাদ্দ ক্রমাগত কমিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। এগুলির মধ্যে আছে একশো দিনের কাজ প্রকল্প, নারী-শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সরকারি প্রকল্প। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এগুলিতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
বাস্তবে, যে আরএসএস-এর মতাদর্শে পরিচালিত হয় বিজেপি দলটি, তাদের চিন্তাধারায় নারী-পুরুষের সমতা স্বীকৃত নয়। তাঁরা মনে করেন, সমাজে নারীর স্থান পুরুষের পিছনে। ২০১৩ সালে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত তো প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, স্ত্রীর কর্তব্য ঘরকন্না দেখভাল করা এবং স্বামীর কাজ রোজগার করা। স্ত্রী যদি তার কর্তব্য না করে তা হলে স্বামীর অধিকার আছে তাকে পরিত্যাগ করার (সূত্রঃ পিটিআই, ৬ জানুয়ারি, ২০১৩)। এই মোহন ভাগবতই আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, পশ্চিমি অপসংস্কৃতির প্রভাবেই ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে এবং ভারতের শহরাঞ্চলে ঘটলেও গ্রাম-ভারতে ধর্ষণ হয় না (সূত্রঃ ওই)। ফলে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সহযোগীরা যা-ই বলুন, নির্বাচনী ইস্তেহারে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে যা-ই লেখা হোক, বাস্তবে দেশের নারীসমাজের বড় অংশটা আজও যে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে, তাদের আলোয় আনার উদ্যোগ নেওয়া, উজ্জ্বল জীবন উপহার দেওয়ার চেষ্টা চালানো বিজেপি সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এ তাদের নেতা-মন্ত্রীদের মানসিক গঠনের সঙ্গেই খাপ খায় না। তাই, ২০২৩-এর ২৮ মে, যেদিন নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করেছিল মোদি সরকার, সেদিন সেই নতুন সংসদে মহা সমারোহে প্রধানমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ, ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি, মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিং। আর অলিম্পিক পদকজয়ী যে অত্যাচারিত কুস্তিগিররা ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে সেই সময় দিল্লিতে আন্দোলন করছিলেন, দেশের মানুষকে হতবাক করে দিয়ে ওই দিনইবিজেপি সরকারের নির্দেশে পুলিশ তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চূড়ান্ত অশালীন ভাবে গ্রেফতার করেছিল। গুজরাট দাঙ্গায় বিলকিস বানোর ধর্ষক ও তার শিশুসন্তানের খুনীদের ‘ভালো আচরণ’-এর সার্টিফিকেট দিয়ে জেলের বাইরে এনে রীতিমতো সংবর্ধনা দিয়েছিল এই বিজেপি।
শুধু এই নয়, আরও একটি ঘটনায় মহিলাদের প্রতি বিজেপি নেতাদের পিতৃতান্ত্রিক তাচ্ছিল্যপূর্ণ মানসিকতা প্রকট হয়। মণিপুর দীর্ঘদিন ধরেই মেইতেই-কুকি জাতিগত সংঘর্ষে উত্তপ্ত। ২০২৩-এর জুলাই মাসে প্রকাশ্যে আসে একটি কুৎসিত ঘটনা। জানা যায়, সেখানে দুই মহিলাকে নগ্ন করে এলাকায় ঘোরানো হয়েছে এবং সেই ঘটনার ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশ শুধু নয়, বিশ্বের নানা দেশেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মহিলা মণিপুরের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান। এত সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একবারের জন্য মণিপুরে পা রাখেননি শুধু নয়, ওই জঘন্য ঘটনাটির নিন্দাসূচক একটি বাক্যও তাঁর মুখে শোনা যায়নি।
ফলে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সাথীদের ‘নারীশক্তি’-র উন্নয়নের জোর-গলা স্লোগানই হোক, কিংবা নির্বাচনী ইস্তেহারে মহিলাদের জন্য বড় বড় প্রতিশ্রুতিই হোক– দেশের নারীসমাজ কি এইসব জুমলায় ভুলবেন?