দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জয়নগর-জামতলা রোডের উপর বুড়োরঘাট সংলগ্ন কালভার্টটি সংস্কারের নামে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে শত শত বাস, অটো, টোটো, মোটর ভ্যান, ট্রেকার ইত্যাদি যায়। কিন্তু বিকল্প রাস্তার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে জয়নগর-২নং ব্লক ও কুলতলির সাথে জয়নগর প্রায় বিচ্ছিন্ন। সাধারণ মানুষকে প্রায় ১০-১২ কিমি ঘুরে জয়নগরে আসতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, রোগী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমেত সকলেরই যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে বিকল্প রাস্তার দাবিতে ১৮ জুলাই সকালে জয়নগর থানার মোড়ে এসইউসিআই(সি)-র ডাকে প্রাক্তন বিধায়ক কমরেড তরুণকান্তি নস্কর ও কমরেড জয়কৃষ্ণর হালদারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও অবস্থান হয়। বিক্ষোভ চলার ১ ঘণ্টা পর পুলিশবাহিনী এসে প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণর হালদার সমেত অন্যদের মারতে মারতে গ্রেপ্তার করে। কৃষক সংগঠন এআইকেকেএমএস জেলা সম্পাদক বাপি মাইতি, মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস-এর জেলা ইনচার্জ সীমা পণ্ডা, ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র জেলা সম্পাদক ঋতুপর্ণা প্রামাণিক ও একজন পথচারী সমেত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অশ্লীল ও কুৎসিত ব্যবহার করে। পুলিশের এই বর্বরতার খবর শুনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পার্টি কর্মী-সমর্থকরা জয়নগরে আসেন এবং বিকালে ধিক্কার মিছিল সংগঠিত হয়। দলের জেলা সম্পাদক কমরেড নন্দ কুণ্ডু দ্রুত বিকল্প রাস্তার দাবিতে এবং পুলিশের অশালীন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ার আহ্বান জানান।