বিএসএনএল কলকাতা সার্কেলের প্রায় ৪ হাজার ঠিকা শ্রমিক এক বছরের বেশি কর্মচ্যুত হয়ে আছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউনের সময়ের বেতন এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে বসে যাওয়া বিএসএনএল কর্মীদের কেউ অভাবে অনটনে মারা গেছেন, কেউ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন।
বিএসএনএল বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে জেসিএল প্রথায় কর্মরত বিএসএনএল ঠিকা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, লকডাউনের সময়ের বেতন, মৃত জেসিএল শ্রমিকদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও ইপিএফ-ইএসআই বকেয়া টাকা জমা দেওয়ার দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর সাউথ জিএম বালিগঞ্জ অফিসে ধরনা বিক্ষোভ দেখান শতাধিক জেসিএল শ্রমিক। সভায় বক্তব্য রাখেন মনোজ ঠাকুর, তাপস জানা, অমিতা বাগ প্রমুখ। কমিটির পক্ষ থেকে সাউথ জিএম-কেডেপুটেশন দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অনিন্দ্য রায়চৌধুরী, মনোজ ঠাকুর ও অমিতা বাগ এবং অন্যতম কার্যকরী সদস্য মনোজিত চক্রবর্তী ও উজ্জ্বল চ্যাটার্জী প্রতিনিধি ডেপুটেশনে যান।
দাবিগুলির যৌক্তকতা মেনে ভারপ্রাপ্ত অফিসার জানান, শ্রমিকদের লকডাউন সময়ের বেতন যাতে দ্রুত মেটানো যায়, সেই বিল কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে। দিল্লি থেকে অনুমোদন এলেই ওই তিন মাসের বেতন দেওয়া হবে। তিনি শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলিও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানান।