রেলে ৬৫০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে! চমকে উঠবেন না। তাজ্জব এই কাণ্ডটি ঘটেছে কোচবিহারের বামনহাট-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে। ট্রেনটিকে ‘স্পেশাল’ নাম দিয়ে ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে।
হবে না-ই বা কেন! দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি যা খুশি তাই করতে পারেন, তাহলে তার রেল মন্ত্রক পারবে না কেন! ফলে, ভাড়া না বাড়ালে চলে কি না, বা বাড়ালে জনগণের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ন্যূনতম কতটুকু বাড়ানো যেতে পারে, এইসব তুচ্ছ ভাবনার অবকাশ নেই নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারের কর্তাদের কাছে। ফলে ১০ টাকার ভাড়া আচমকা ৭৫ টাকা ধার্য হয়ে গেল।
কিন্তু জনগণ প্রশ্ন তুলেছে, বামনহাট থেকে দিনহাটা, যেখানে বাসভাড়া ২০ টাকার মতো, সেখানে ট্রেনভাড়া ৭৫ টাকা হবে কেন? কেন এই জুলুমবাজি?
এই ট্রেনে যে স্টেশনেই যান না কেন ভাড়া ৭৫ টাকা। অর্থাৎ উঠলেই ৭৫ টাকা। এর যুক্তি কী? শুধু এই ট্রেনেরই ভাড়া বাড়েনি, সমস্ত ট্রেনেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত তিস্তাতোর্সা এক্সপ্রেসে ভাড়া ১২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। করোনার জন্য কি সরকারের পকেটে টান পড়েছে? তাই যদি হয় তাহলে করোনায় তো জনগণেরও পকেটে টান পড়েছে! তারা দেবে কেত্থেকে? ‘স্পেশাল’ নাম দিয়ে এই ট্রেনের জেনারেল সিট তুলে দেওয়া হয়েছে।
ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। ১৮ ডিসেম্বর কোচবিহার স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় এসইউসিআই(সি)। তাদের দাবি পূর্বের ভাড়া ফিরিয়ে আনতে হবে। স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই গলাকাটা ভাড়া প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন তীব্রতর হবে।