বাইক ট্যাক্সি চালকরা প্রতিনিয়ত পুলিশি জুলুম এবং বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির শোষণের শিকার হচ্ছেন। বেকারত্বের হার যখন সর্বোচ্চ তখন কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মহীন বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা। কলকাতার বাইক ট্যাক্সি চালকদের বৃহৎ অংশের দাবি পুলিশি জুলুমের পাশাপাশি ওলা-উবের প্রভৃতি কোম্পানিগুলির বিভিন্ন ভ্রান্ত নীতির ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ভাড়ার পুনর্বিন্যাস, অফিসিয়াল কাজে প্রশাসনের গড়িমসি, ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ফাইন, পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা সাবারবান বাইক ট্যাক্সি অপারেটরস ইউনিয়ন কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক)-এর কাছে স্মারকলিপি দেয় এবং বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। শ’ তিনেক চালক উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি শান্তি ঘোষ বলেন, গণপরিবহণে একসময় সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালের এক আইনের মাধ্যমে আরটিএ এবং পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে তুলে দিয়ে এজেন্সি মারফত কাজ করানো এবং বাস ও অন্যান্য গণপরিবহণে কন্ট্রাকচুয়াল লেবারের সংখ্যা বাড়ানোর যে কথা বলেছে, রাজ্য সরকার তাকেই কার্যকর করছে। তিনি বলেন, বাইক ট্যাক্সি অপারেটরদের উপরে অতিরিক্ত পরিমাণে জরিমানা ধার্য করে কার্যত তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর করার আহ্বান জানান।
কলকাতার বাগমারিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি এক বাইক ট্যাক্সি চালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতা সাবারবান বাইক ট্যাক্সি অপারেটরস ইউনিয়নের সম্পাদক দেবু সাউ। তিনি অ্যাপ কোম্পানিগুলিকে বাইক ট্যাক্সি চালক সহ যাত্রীদের জীবন বিমা করানোর এবং সমস্ত বাইক ট্যাক্সি চালকদের ‘সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প’-এর আওতায় আনার দাবি জানান।
তাঁর আরও দাবি, অবিলম্বে বাইক ট্যাক্সিকে আইনানুগ স্বীকৃতি দিতে হবে, দুর্ঘটনায় মৃত বাইক ট্যাক্সিচালকের পরিবার সহ আরোহীকে অ্যাপ কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।