70 year 27 Issue, 23 Feb 2018
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ৯ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা প্রসঙ্গে বলেন –
‘‘স্বৈরতান্ত্রিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন চালিয়ে অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার যখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দুর্নীতির বিচারে অতি তৎপর হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ জাগে৷ সম্প্রতি বিচারবিভাগের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ যেভাবে পাকাপোক্ত করা হয়েছে তাতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে৷ ২০১৪–র ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন প্রহসনের নির্বাচন করতে সরকারের রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই রায় ব্যবহৃত হবে– তা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে৷’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘বিএনপি আমল সহ প্রত্যেকটি সরকারের সময়েই শীর্ষ মহলের যোগসাজশে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে– এ কথা মানুষ অভিজ্ঞতা থেকেই বিশ্বাস করে৷ আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরের শাসনামলে দলীয় লোকদের যোগসাজশে ব্যাঙ্ক–শেয়ারবাজার লুট, অর্থ পাচার, বিদ্যুৎ খাত সহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে৷ এ সম্পর্কে ওঠা অভিযোগগুলোর কোনওটিরই সুষ্ঠু তদন্ত–বিচার–শাস্তি হয়নি, বরং অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ সরকারের সহযোগী হওয়ায় মহাদুর্নীতিবাজ এরশাদের মামলাগুলোরও কোনও অগ্রগতি নেই৷ ফলে দুর্নীতিবাজদের বিচারে সরকার আন্তরিক– এ কথা মনে করার কোনও কারণ নেই৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার নামে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়ার মামলা চালানোর ঘটনাতেই সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও নৈতিক অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়৷’’
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘‘বর্তমান যুগে বুর্জোয়া ব্যবস্থা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত৷ শাসকগোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার অবসান প্রকৃতপক্ষে এরা কেউই চায় না৷ ফলে আজ একদিকে দুর্নীতিবাজ বুর্জোয়া দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা দরকার, অন্যদিকে বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করে দমনমূলক ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন৷’’